Engagement ads কি?
এনগেজমেন্ট Adds কি?
এনগেজমেন্ট অ্যাডসের কিছু সাধারণ উদাহরণঃ
- পোস্ট এনগেজমেন্ট অ্যাডসঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারের পোস্টগুলোতে লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করার জন্য ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করে।
- ভিডিও ভিউ অ্যাডসঃ ভিডিও কনটেন্ট দেখার জন্য ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করা হয়।
- ইভেন্ট রেসপন্স অ্যাডসঃ ইভেন্টে যোগদানের জন্য ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করে।
- পোল বা কুইজ অ্যাডসঃ ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণ করানোর জন্য পোল বা কুইজের মাধ্যমে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানো হয়।
এনগেজমেন্ট Adds কিভাবে কাজ করে?
Engagement ads কাজ করে এমনভাবে যাতে তারা ব্যবহারকারীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে এবং তাদের অংশগ্রহণ বাড়ায়। এখানে কিভাবে কাজ করে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
১. লক্ষ্য নির্ধারণঃ
প্রথমে
বিজ্ঞাপনদাতা নির্ধারণ করেন যে তারা
কোন ধরনের এনগেজমেন্ট চাচ্ছেন। এটি হতে পারে
লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, ক্লিক, ইত্যাদি।
২. বিজ্ঞাপন তৈরিঃ
বিজ্ঞাপন
তৈরি করার সময় বিজ্ঞাপনদাতা
আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করেন যা
ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এটি হতে
পারে একটি আকর্ষণীয় পোস্ট,
ভিডিও, ইমেজ বা পোল।
৩. টার্গেট অডিয়েন্সঃ
বিজ্ঞাপনদাতারা
তাদের বিজ্ঞাপনটি কোন ধরণের ব্যবহারকারীদের
দেখাতে চান তা নির্ধারণ
করেন। তারা ডেমোগ্রাফিক্স, ইন্টারেস্ট,
বিহেভিয়ার ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে
তাদের টার্গেট অডিয়েন্স নির্বাচন করেন।
৪. প্ল্যাটফর্ম বাছাইঃ
বিজ্ঞাপনদাতারা
তাদের বিজ্ঞাপন কোন প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত
হবে তা বেছে নেন,
যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি।
৫. বিজ্ঞাপন প্রদর্শনঃ
বিজ্ঞাপনটি
নির্বাচিত প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত হয় এবং লক্ষ্য
নির্ধারিত ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে।
৬. এনগেজমেন্ট ট্র্যাকিংঃ
বিজ্ঞাপনটি
প্রদর্শিত হওয়ার পর, বিজ্ঞাপনদাতারা এনগেজমেন্ট
ট্র্যাক করতে থাকেন। তারা
দেখতে পারেন কতজন ব্যবহারকারী বিজ্ঞাপনের
সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করেছেন, যেমন লাইক দিয়েছেন,
শেয়ার করেছেন, কমেন্ট করেছেন বা ক্লিক করেছেন।
৭. ফলাফল বিশ্লেষণঃ
বিজ্ঞাপনদাতারা
এনগেজমেন্ট ডেটা বিশ্লেষণ করেন
এবং বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা পরিমাপ করেন। যদি প্রয়োজন হয়,
তারা তাদের বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনকে অপটিমাইজ করে।
৮. অ্যাডজাস্টমেন্ট ও অপটিমাইজেশনঃ
বিজ্ঞাপনদাতারা
এনগেজমেন্ট ডেটার উপর ভিত্তি করে
তাদের বিজ্ঞাপন কৌশল পরিবর্তন করতে
পারেন এবং ভবিষ্যতে আরও
ভাল ফলাফল পাওয়ার জন্য অপটিমাইজ করেন।
আরো পড়ূনঃফেজবুক Adds কি? কিভাবে কাজ করে?
উদাহরণঃ
ধরা
যাক, একটি ব্র্যান্ড ফেসবুকে
একটি নতুন পণ্যের বিজ্ঞাপন
দিতে চায়। তারা একটি আকর্ষণীয়
পোস্ট তৈরি করে এবং
তাদের টার্গেট অডিয়েন্স নির্বাচন করে। বিজ্ঞাপনটি ফেসবুকে
প্রদর্শিত হওয়ার পর ব্যবহারকারীরা সেই
পোস্টে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করতে থাকে, যা
ব্র্যান্ডের সাথে তাদের এনগেজমেন্ট
বাড়ায়। বিজ্ঞাপনদাতারা এই এনগেজমেন্ট ডেটা
বিশ্লেষণ করে দেখতে পারেন
কোন ধরণের কন্টেন্ট সবচেয়ে বেশি কার্যকর ছিল
এবং ভবিষ্যতে তাদের কৌশল উন্নত করতে
পারেন।
এনগেজমেন্ট Adds কয় ধারনের হয়?
এনগেজমেন্ট অ্যাডস বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যা প্ল্যাটফর্ম এবং বিজ্ঞাপনদাতার উদ্দেশ্য অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এখানে কিছু সাধারণ ধরণের এনগেজমেন্ট অ্যাডস উল্লেখ করা হলো।
১.
পোস্ট এনগেজমেন্ট অ্যাডসঃ
- ফেসবুক
পোস্ট এনগেজমেন্ট অ্যাডসঃ ফেসবুকে পোস্টের লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ইনস্টাগ্রাম
পোস্ট এনগেজমেন্ট অ্যাডসঃ ইনস্টাগ্রামে ফটো বা ভিডিও পোস্টের ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
২.
ভিডিও এনগেজমেন্ট অ্যাডস।
- ভিডিও
ভিউ অ্যাডসঃ ভিডিও কনটেন্টের ভিউ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ইউটিউব, ফেসবুক, এবং ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয়।
- লাইভ
ভিডিও এনগেজমেন্ট অ্যাডসঃ লাইভ স্ট্রিমিং ইভেন্টগুলিতে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩.
ইভেন্ট এনগেজমেন্ট অ্যাডস।
- ইভেন্ট
রেসপন্স অ্যাডসঃ ফেসবুক ইভেন্টে যোগদানের জন্য ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করা হয়।
- ওয়েবিনার
এনগেজমেন্ট
অ্যাডসঃ অনলাইন ওয়েবিনারে রেজিস্ট্রেশন এবং অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪.
পোল এবং কুইজ এনগেজমেন্ট অ্যাডস।
- পোল
অ্যাডসঃ ব্যবহারকারীদের কাছে পোল প্রশ্ন তুলে তাদের ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানো হয়।
- কুইজ
অ্যাডসঃ কুইজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যস্ত রাখা এবং তাদের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানো হয়।
৫.
কারাউসেল এবং স্লাইডশো এনগেজমেন্ট অ্যাডস।
- কারাউসেল
অ্যাডসঃ একাধিক ছবি বা ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানো হয়।
- স্লাইডশো
অ্যাডসঃ ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ বা ইমেজের স্লাইডশো তৈরি করে ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করা হয়।
৬.
স্টোরিজ এনগেজমেন্ট অ্যাডস।
- ইনস্টাগ্রাম
স্টোরিজ অ্যাডসঃ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানো হয়।
- ফেসবুক
স্টোরিজ অ্যাডসঃ ফেসবুক স্টোরিজের মাধ্যমে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৭.
ইনফ্লুয়েন্সার এনগেজমেন্ট অ্যাডস।
- ইনফ্লুয়েন্সার
পোস্ট এনগেজমেন্টঃ ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে স্পন্সর করা পোস্টের ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৮.
কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যাডস।
- গ্রুপ
এনগেজমেন্ট
অ্যাডসঃ ফেসবুক গ্রুপ বা অনলাইন কমিউনিটির ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই
ধরনের এনগেজমেন্ট অ্যাডস বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে,
যা ব্র্যান্ডের সাথে ব্যবহারকারীদের সম্পর্ক
উন্নত করতে সহায়ক।
এনগেজমেন্ট
Adds কোন দেশে বেশি ব্যবহার
হয়?
এনগেজমেন্ট অ্যাডস বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়, তবে কিছু দেশে এগুলির ব্যবহার বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এখানে কয়েকটি দেশের কথা উল্লেখ করা হলো যেখানে এনগেজমেন্ট অ্যাডস ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
১.
যুক্তরাষ্ট্র
(USA)
যুক্তরাষ্ট্রে
এনগেজমেন্ট অ্যাডস ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ এটি
বৃহত্তম ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, এবং লিঙ্কডইন-এর
মত প্ল্যাটফর্মগুলি এখানে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
২.
যুক্তরাজ্য (UK)
যুক্তরাজ্যে
এনগেজমেন্ট অ্যাডস ব্যবহার করে ব্র্যান্ডগুলো তাদের
লক্ষ্যযুক্ত শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে এবং
তাদের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়াতে
সক্ষম হয়।
৩.
ভারত (India)
ভারতে
সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এনগেজমেন্ট
অ্যাডসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুক এবং
ইনস্টাগ্রাম এখানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
৪.
কানাডা (Canada)
কানাডায়
ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এনগেজমেন্ট অ্যাডসের
ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি এখানে বিশেষভাবে কার্যকরী।
৫.
অস্ট্রেলিয়া
(Australia)
অস্ট্রেলিয়ায়
এনগেজমেন্ট অ্যাডস ব্যবহার করে ব্র্যান্ডগুলো তাদের
কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি
করছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব এখানে
জনপ্রিয়।
৬.
ব্রাজিল
(Brazil)
ব্রাজিলে
সামাজিক মিডিয়ার ব্যবহার খুবই উচ্চ। এনগেজমেন্ট
অ্যাডসের মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলো তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস প্রচার
করতে সক্ষম হচ্ছে।
৭.
জার্মানি
(Germany)
জার্মানিতে
এনগেজমেন্ট অ্যাডস ব্যবহার করে ব্র্যান্ডগুলো তাদের
লক্ষ্যযুক্ত শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে এবং
ইন্টারঅ্যাকশন বাড়াতে সক্ষম হচ্ছে।
৮.
দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)
দক্ষিণ
কোরিয়ায় ডিজিটাল মিডিয়া এবং এনগেজমেন্ট অ্যাডসের
ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে স্থানীয় প্ল্যাটফর্মগুলিতে
যেমন কাকাওটক।
৯.
জাপান (Japan)
জাপানে
এনগেজমেন্ট অ্যাডসের ব্যবহার বিশেষভাবে জনপ্রিয় কারণ এটি একটি
প্রযুক্তি-অগ্রণী দেশ। লাইন এবং
টুইটারের মত প্ল্যাটফর্মগুলি এখানে
ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
১০.
চীন (China)
চীনে,
যদিও ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো
পশ্চিমা প্ল্যাটফর্মগুলি সীমাবদ্ধ, স্থানীয় প্ল্যাটফর্মগুলি যেমন উইচ্যাট এবং
ওয়েইবো এনগেজমেন্ট অ্যাডসের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত
হয়।
এই দেশগুলোতে এনগেজমেন্ট অ্যাডসের জনপ্রিয়তা মূলত ইন্টারনেট এবং সামাজিক মিডিয়ার ব্যবহার, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অগ্রগতি, এবং প্রযুক্তিগত সুবিধার উপর নির্ভর করে।
Valo