এ গরমে আমদের করণীয় কি? ভাল থাকতে কি করব?

এ গরমে আমদের করণীয় কি?


এ গরমে আমদের কয়েকটি করণীয় বিষয় হলো স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক ভাবে ভালো থাকা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা।এ গরমে কিছু করণী হলো।

  1. পানীয় পানঃ গরমে বেশী পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে দেহ প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি হারানো হয়ে যায়।
  2. পরিধি সংরক্ষণঃ আপনার সম্পদের এবং আপনার নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। এটা অত্যন্ত গরম সময়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যাকে পরিপূর্ণ করা হয়ে যেতে পারে বা গরম সময়ে হুমিডিফিয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  3. যোগাযোগ সংরক্ষণঃ সম্পর্কের সাথে সহজতার কথা বলা এবং একে অপরের সাথে সমস্যা নিয়ে কাজ করা গরমে করণী হতে পারে।
  4. সাস্থ্যকর খাদ্যঃগরমে খুব বেশি প্রয়োজন হতে পারে পরিমাণমতো পানি পান করার পাশাপাশি সবজি ও ফলের পরিমাণও বাড়াতে পারেন।
  5. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাঃ গরমে সঠিক ঘুম পান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এগুলি মূলত কোনো অমুল্য সম্পদ নয়, তবে এগুলি আপনার প্রতিদিনের জীবনে পার্যাপ্ত কর্মকান্ড করতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার সাস্থ্যকে সুন্দর রাখতে সহায়তা করবে।

এ গরমে সুস্থ থাকতে কিছুগুরুতবপূর্ন টিপ্।

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, বিশেষ করে যখন বাইরে বের হন।
  • ঠান্ডা পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, নারকেলের পানি ইত্যাদি পান করতে পারেন।
  • তরল খাবার, যেমন স্যুপ, ফলের রস, ওটমিল ইত্যাদি খান।
  • মদ্যপান ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো ডিহাইড্রেশন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

পোশাক নির্বাচন করা।

  • হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন।
  • রোদে বের হলে টুপি, ছাতা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
  • বাইরে বের হওয়ার সময় আপনার ত্বককে ঢেকে রাখুন।

খাদ্য তালিকা নির্বাচন করা।

  • হালকা খাবার খান যা সহজে হজম হয়।
  • ফল, শাকসবজি এবং সালাদ বেশি খান।
  • মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো আপনার শরীরকে আরও গরম করতে পারে। নিয়মিত খাবার খান।

অন্যান্য গুরুতবপূর্ন বিষয়।

  • রোদে দীর্ঘ সময় ধরে থাকা এড়িয়ে চলুন।
  • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন, তবে দিনের সবচেয়ে গরম সময় এড়িয়ে চলুন।
  • ঠান্ডা স্নান বা গোসল করুন।
  • যদি আপনি অসুস্থ বোধ করেন, বিশেষ করে যদি আপনার জ্বর, মাথাব্যথা বা বমি বমি ভাব হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্ন নেয়া।

  • শিশু ও বয়স্কদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে উৎসাহিত করুন।
  • শিশুদের সরাসরি রোদে খেলতে দেবেন না।
  • বয়স্কদের নিয়মিত তাদের ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিন।

গরমের সময় কিছু সাধারণ সমস্যা হল।

  • ডিহাইড্রেশন
  • হিট স্ট্রোক
  • ত্বকের পোড়া
  • খাদ্য বিষণ্ণতা
  • মশার কামড়

যদি আপনি এই সমস্যাগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন।গরমের সময় সুস্থ থাকার জন্য এই টিপসগুলো অনুসরণ করুন। মনে রাখবেন, হাইড্রেটেড থাকা এবং রোদে বেশি সময় ধরে থাকা এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।

এ গরমে কি কি খাবার খেতে পারি?

গরমে সঠিক পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ যেখানে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। একটি পুষ্টিকর গরমের খাবার তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনার দেহকে ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করতে পারে। কিছু গুরুতবপূর্ন খাবারের উদাহরণ হলো।

  • তাজা সবজিঃ তরকারী খাবার এবং তাজা সবজি গরমে খুবই পুষ্টিকর। এগুলি দেহকে ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে এবং পানি পূরণ করে।
  • ফলেঃ প্রাচীন কালে এবং আধুনিক সময়ে এগুলি দেখা যায় যখন এগুলি খুবই পুষ্টিকর হিসাবে মনোনিবেশিত হয়। তাদের দেহের ঠাণ্ডা করার এবং প্রয়োজনীয় তরলতা পূরণ করার সাথে সাথে দ্বারা প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়।
  • দাহ শান্তি খাদ্যঃ যেমন সবুজ লাইচি, সবুজ মুঁড়ি, কুলিশ, ব্লুবেরি, তাজা আম, পেঁপে, টমেটো, গরম মেয়না ইত্যাদি।
  • রাখে এবং গড়গড়ি এবং অন্যান্য সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে।পরিমাণমতো পানি পানঃ গরমে পরিমাণমতো পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা দেহে ঠাণ্ডা  রাখে।
  • দাহ নিরসন খাবারঃ তাজা নারিকেল পানি, নারিকেল জুস, নারিকেল পানি দেয়া ফলে দাহ নিরসন হয়ে থাকে।

গরমের শক্তির বিপরীতে, তাপমাত্রা উচ্চ হয়ে আসলে আপনার পরিমিত পানি খুব প্রয়োজন।আপনি সাধারণে মিষ্টি সারবত পানি, নীমবু জল বা বাঁধাকপির রস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন যা আপনার দেহের পুনরায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

গরমের দিনে খাওয়ার জন্য কিছু সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার।

ফল সমহঃ

  • তরমুজঃ তরমুজ ৯২% পানি সমৃদ্ধ, যা গরমের দিনে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন এ, সি এবং লাইকোপিনও রয়েছে যা আপনার ত্বককে রোদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
  • ডাবঃ ডাব পানি, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • আনারসঃ আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ব্রোমেলেইন থাকে, একটি এনজাইম যা হজমে সাহায্য করে।
  • লেবুঃ লেবুর রসে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
  • কাঁঠালঃ কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনাকে পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।

সবুজ শাকসবজি নিয়মিত খাওয়া।

  • শসাঃ শসা ৯৫% পানি সমৃদ্ধ এবং এতে ভিটামিন কে এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
  • পালং শাকঃ পালং শাকে ভিটামিন এ, সি, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম থাকে।
  • লাউঃ লাউতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার থাকে। এতে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামও রয়েছে।
  • ঝিঙাঃ ঝিঙা একটি ঠান্ডা খাবার যা রক্ত ​​চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • বেগুনঃ বেগুনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডেইরি খাবার সমহ।

  • দইঃ দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে যা হজম উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডিও রয়েছে।
  • ছানাঃ ছানা একটি হালকা এবং ঠান্ডা খাবার যা প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
  • লস্সিঃ লস্সি একটি ঠান্ডা পানীয় যা দই, পানি এবং মশলা দিয়ে তৈরি। এটি হাইড্রেটেড থাকতে এবং হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।

একজন মানুষ একদিনে কয়টা স্যালাইন খেতে পারে?

স্যালাইন ব্যবহারের সঠিক পরিমাণ সাধারণত মাত্রা প্রতি দিনে অন্তত ২-৩ গ্রাম বা প্রায় ১ চা চামচ হয়। এই পরিমাণ স্যালাইন দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ পরিমাণ সরবরাহ করে এবং স্যালাইনের বেশি পরিমাণ খেলে স্বাস্থ্যের জন্য আপাতত কিছুটা ক্ষতিকর হতে পারে।
তবে, এটা খেতে যে পরিমাণ স্যালাইন আপনার প্রতিদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত হবে তা আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা, মেয়াদকাল এবং প্রোপার পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পরিবর্তন করতে পারে।

একজন মানুষ কতটা স্যালাইন খেতে পারে তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন:

ব্যক্তির বয়স, ওজন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা ভেদে।

  • শিশু ও বয়স্কদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন খাওয়ানো উচিত।
  • যারা কিডনি, হৃদরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন তাদেরও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন খাওয়া উচিত।

ডিহাইড্রেশনের মাত্রা কতটুকু।

  • যারা তীব্রভাবে ডিহাইড্রেটেড তাদেরকে বেশি স্যালাইন খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
  • মুখ দিয়ে স্যালাইন খাওয়ার চেয়ে শিরাপথে স্যালাইন দ্রুত শরীরে শোষিত হয়।
  • সাধারণভাবে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন 4 থেকে 6 লিটার স্যালাইন খেতে পারেন।

কিছু বিষয় মনে রাখবেন।

  • অতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। এটি ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
  • স্যালাইন খাওয়ার আগে সবসময় একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • ডাক্তার আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা অনুসারে স্যালাইনের পরিমাণ এবং কীভাবে খাবেন সে সম্পর্কে নির্দেশিকা দেবেন।

এ গরমে অবশ্যয় পালনিয় কি?

পানি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহকে ঠাণ্ডা করে এই কারণে, গরমে অবশ্যই পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং পানির পরিমাণ দেহের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সাময়িকভাবে বাড়াতে পারেন।

এছাড়াও, অন্যান্য খাবার যেমন তাজা সবজি এবং ফল, তরকারি, দুধ এবং তাজা পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন৷ এগুলি দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং সঠিক পানিতে নিমেষে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ ৷

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪