এ সময় গলা ব্যথা হলে কি করব?
এ সময় গলা ব্যথার কারণ কি?
ভাইরাস জনিত গলা ব্যথার অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হল।নিম্নে এ সর্ম্পেকে আলচানা করা হল।
সর্দঃ এটি রাইনোভাইরাস নামক ভাইরাসের কারণে হয়। এর উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি, এবং কখনও কখনও জ্বর।
ফ্লুঃ এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে হয়। এর উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে গলা ব্যথা, জ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, এবং ক্লান্তি। স্ট্রেপ থ্রোটঃ এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, তবে এটি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কারণ এটি ভাইরাস জনিত গলা ব্যথার সাথে বিভ্রান্ত হতে পারে। স্ট্রেপ থ্রোটের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে তীব্র গলা ব্যথা, জ্বর, গলায় ফোঁড়া, এবং গলায় লালা ঝরে পড়া।
অন্যান্য ভাইরাস যা গলা ব্যথার কারণ হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে উল্ল্যেখযগ্য কয়েকটি হল।
- অ্যাডেনোভাইরাস ভাইরাস।
- এন্টারোভাইরাস ভাইরাস।
- কক্সস্যাকিভাইরাস ভাইরাস ।
অ্যাডেনোভাইরাসে করণিয় কি?
অ্যাডেনোভাইরাস হলো একধরনের ভাইরাস যা অ্যাডেনোভাইরাল গণে প্রবৃদ্ধি করে। এই ভাইরাসগুলি প্রাণীর অ্যাডেনোভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত সংক্রান্ত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অ্যাডেনোভাইরাসের সাধারণ লক্ষণগুলি সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, অত্যন্ত ক্লান্তি ইত্যাদি হতে পারে। এই ভাইরাসের বিপরীতে ভাইরাসপ্রতি প্রতিরোধক ব্যক্তিদের প্রতি আবদ্ধতা থাকতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ প্রেমাদের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে আক্রান্ত করতে পারেন। কিছু অ্যাডেনোভাইরাস ব্যক্তিদের অস্থিতিশীল করতে পারে যার মাধ্যমে ভাইরাল সংক্রমণ বেশি গভীরভাবে ছড়ায়।
এন্টারোভাইরাস কি? হলে করণীয় কি?
এন্টারোভাইরাস হলো একগুচ্ছ ভাইরাসের গণ, যা মানুষের পায়খানায় আক্রমণ করে এবং বয়ান অংশের রক্তে উপস্থিত হতে পারে। এন্টারোভাইরাস সংক্রমণের মূল উৎস হলো দুষ্ট খাবার বা পানীয়। এই ভাইরাসগুলির কারণে ব্যক্তিগণ সময়ের সাথে উপস্থিত ত্রুটির কারণে পেটের অস্তিত্বকের দীর্ঘস্থানীয় আক্রমণ হতে পারে। এন্টারোভাইরাসের ধরন মধ্যে রয়েছে রোটাভাইরাস, নোরোভাইরাস, ক্যালিসিভাইরাস, এডেনোভাইরাস, এবং ক্যালিসিভাইরাস সহ অন্যান্য ধরনের ভাইরাস।
এন্টারোভাইরাসের রোগের লক্ষণ হতে পারে পেটের ব্যাথা, বমি, পাতলা বা অনিয়মিত পেটের মুখে পাড়া, জ্বর, অতিরিক্ত ক্লান্তি, অসুস্থতা ইত্যাদি।
এন্টারোভাইরাস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিতে হলে নিচের পদক্ষেপ গুলি অবশ্যয় পালনিয়।
- পরিষ্কার পানি খাবার এবং পানীয় পরিপ্রেক্ষিতে ধারণ করুন।
- নির্দেশনা মোতাবেক পরিষ্কারভাবে হাত ধোয়া।
- খাবার ও পানীয় পরিস্কার অবস্থায় রাখুন।
- ব্যক্তিগণের মধ্যে রোগগ্রস্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
- সময়ের সাথে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসা নিন যদি আপনি অনুমান করেন যে আপনি এন্টারোভাইরাস বা এর কোন আক্রান্ত হতে পারেন।
এন্টারোভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলি
এন্টারোভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলি হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে এবং এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।- জ্বর
- গলা ব্যথা
- কাশি
- নাশার বদ্ধতা
- পেশী ব্যথা
- শরীর ব্যথা
- মাথাব্যথা
- অসুস্থতা
- ডায়রিয়া
- উদরস্ফীতি
- ত্বকের ফোড়া
এন্টারোভাইরাস সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায়?
এন্টারোভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির মল বা শ্বাসযন্ত্রের স্রোতের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিম্নলিখিত উপায়ে হতে পারে।
- সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
- সংক্রমিত ব্যক্তির দ্বারা দূষিত খাবার বা পানীয় গ্রহণ
- সংক্রমিত ব্যক্তির দ্বারা দূষিত পৃষ্ঠতল স্পর্শ করা এবং তারপর হাত ধোয়া না করা
- বারবার হাত ধোয়া, বিশেষ করে খাবার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে।
- অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলা, যারা অসুস্থ।
- সংক্রমিত ব্যক্তির দ্বারা দূষিত খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা এড়িয়ে চলা।
- সংক্রমিত ব্যক্তির দ্বারা দূষিত পৃষ্ঠতল স্পর্শ করার পরে হাত ধোয়া।
আপনার যদি মনে হয় আপনার এন্টারোভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
কক্সস্যাকিভাইরাস কি? হলে করণীয় কি?
কক্সসাকি ভাইরাস (Coxsackievirus) হলো একটি পিকোর্নাভাইরাস গণের একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসগুলি মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের সংক্রমণের জন্য দায়িত্বশীল। মূলত, এই ভাইরাসগুলি হাত-পা মুখের অবস্থানে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে, যা লক্ষণগুলির মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের ব্যাথা, হালকা প্রত্যাহার বা পা-বা ব্যাথা, এবং ফেফড়ার অবস্থানে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।
কক্সসাকি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কিছু প্রধান পদক্ষেপ হতে পারে।নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হল।
- পরিষ্কার হাত ধোয়াঃ কক্সসাকি ভাইরাস বা এর সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- স্বাস্থ্যকর পরিবেশঃ সাধারণ পরিস্থিতিতে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা জরুরী।
- অক্সিজেনের ব্যবহারঃ সংস্থাগত অক্সিজেনের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকারক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি প্রকার।
- স্নানঃ কক্সসাকি ভাইরাস সংক্রমিত বা সংক্রমণ হওয়া সম্ভাবনামূলক সময়ে তাত্ক্ষণিক স্নান গুরুত্বপূর্ণ।
- আহারের সাবধানতাঃ স্বাস্থ্যগত খাবার এবং পানীয় পরিপ্রেক্ষিতে ধারণ করা জরুরী।
- নিয়মিত টিকাঃ কোক্সসাকি ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিয়মিত টিকা গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় হতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। যদি কেউ কক্সসাকি ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং সহায়তা প্রদানের জন্য তাদের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
- প্রচুর তরল পান করুন: এটি আপনার গলা ভেজা রাখতে এবং শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করবে।
- লবণাক্ত জল দিয়ে গার্গল করুন: এটি আপনার গলা ব্যথার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- মধু চাষা করুন: মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথার উপসর্গগুলি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
- আর্দ্র বাতাস শ্বাস নিন: এটি আপনার গলা শুষ্ক এবং বিরক্তিকর হওয়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করবে।
- বিশ্রাম নিন: আপনার শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন।
আপনার যদি গলা ব্যথা হয়, তাহলে কারণ নির্ধারণ এবং সঠিক চিকিৎসা পেতে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ভাইরাস জনিত গলা ব্যথার চিকিৎসা বিশ্রাম, তরল পান এবং ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথার ওষুধ দিয়ে করা হয়। যাইহোক, কিছু ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে।
আর কয়দিন থাকবে এ ব্যাথা?
একজনের কক্সসাকি ভাইরাসের সংক্রমণে অনুভব করা ব্যাথা সময়ের মধ্যে পরিষ্কার হতে শুরু করবে এবং সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে, এই সময়সীমা ব্যক্তির ব্যক্তিগত অবস্থার উপর নির্ভর করে। কিছু লোকের জন্য এই ব্যাথা আরো দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে এবং তাদের উপচার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে, এই সময়সীমা শুধুমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মিলিত হয় এবং তার প্রাথমিক চিকিৎসা এবং সহায়তা প্রদানের জন্য অনুমান করা হয়েছে। আপনি যদি এই সময়সীমার বাইরে ব্যাথা অনুভব করেন, তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত যেন আপনি সঠিক চিকিৎসা প্রাপ্ত করতে পারেন।
onnak sundor