ইউরোপ মহাদেশ কয়টি দেশ নিয়ে গঠিত?
ইউরোপ মহাদেশ কয়টি দেশ নিয়ে গঠিত?
ইউরোপ মহাদেশ কোন কোন দেশ নিয়ে গঠিত?
- যুক্তরাজ্য (United Kingdom)
- জার্মানি (Germany)
- ফ্রান্স (France)
- ইটালি (Italy)
- স্পেন (Spain)
- হলণ্ড (Netherlands)
- বেলজিয়াম (Belgium)
- সুইডেন (Sweden)
- ডেনমার্ক (Denmark)
- নরওয়ে (Norway)
- ফিনল্যান্ড (Finland)
- আইসল্যান্ড (Iceland)
- আইরল্যান্ড (Ireland)
- পোল্যান্ড (Poland)
- অস্ট্রিয়া (Austria)
- সুইজারল্যান্ড (Switzerland)
- পোর্টুগাল (Portugal)
- বুলগেরিয়া (Bulgaria)
- চেক প্রজাতন্ত্র (Czech Republic)
- হাঙ্গেরি (Hungary
এছাড়াও, ইউরোপের অনেক অন্যান্য দেশ আছে যেমন ক্রোয়েশিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাতভিয়া, এস্তোনিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, লাক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো, লিচ্টেনস্টাইন, সন মারিনো, ভ্যাটিকান সিটি, অ্যান্ডোরা ইত্যাদি।
ইউরোপ মহাদেশর কোন দেশের মুদ্রার নাম কি?
ইউরোপ মহাদেশের বেশিরভাগ দেশের মুদ্রা ইউরো (Euro)। ইউরো হলো ইউরোপের একত্রিত মুদ্রা, যা ব্যবহৃত হয় এই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশে। কিছু উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, স্পেন, হলণ্ড, পোর্টুগাল, বেলজিয়াম, আস্ট্রিয়া, ইরল্যান্ড, গ্রীস, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, মাল্টা, সিরিয়া, কিপ্রাস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিত্বুয়ানিয়া, লাক্সেমবার্গ, লিচ্টেনস্টাইন, মনাকো, সান মারিনো, ভ্যাটিকান সিটি ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করে। তবে, কিছু দেশে আলাদা মুদ্রা ব্যবহার হয়, উদাহরণস্বরূপ ব্রিটিশ পাউন্ড (British Pound) ইউক্ত মুদ্রা।
ইউরোপের বাকি দেশগুলো তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করে।
উদাহরণস্বরূপ ধরা যায়।
- যুক্তরাজ্য - পাউন্ড স্টার্লিং
- সুইজারল্যান্ড - সুইস ফ্রাঙ্ক
- ডেনমার্ক - ডেনিশ ক্রোন
- সুইডেন - সুইডিশ ক্রোনা
- পোল্যান্ডপুলিশ জ্লোটি
ইউরোপ
মহাদেশ পৃথিবীর কোন দিকে অবস্থিত?
ইউরোপের ভৌগোলিক অবস্থান।
- উত্তরে: আর্কটিক মহাসাগর
- পশ্চিমে: আটলান্টিক মহাসাগর
- দক্ষিণে: ভূমধ্যসাগর
- পূর্বে: ইউরাল পর্বতমালা, কাস্পিয়ান সাগর, এবং কৃষ্ণ সাগর
ইউরোপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য।
- আল্পস পর্বতমালা: ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী
- ডেনিউব নদী: ইউরোপের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী
- ভূমধ্যসাগর: ইউরোপের দক্ষিণে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ
ইউরোপ মহাদেশ কিসের জন্য বিখ্যাত?
ইউরোপ মহাদেশ প্রসিদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন কারণে।নিম্নে
কিছু প্রধান প্রধান কারণ উল্লেখ করা হল।
ঐতিহাসিক মৌলিকতা: ইউরোপ মহাদেশের অনেক দেশে প্রাচীন ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ঘটদছে যা বিশ্ব ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক অধ্যয়েতাদের আকর্ষণ করে। উদাহরণস্বরূপ, রোমান সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা, নেদারল্যান্ডস, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশগুলির ঐতিহাসিক প্রভাব প্রস্তুত করেছে এই অঞ্চলকে।
আরো পড়ূনঃএশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান?
সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিতে ধারণ করা প্রাচীনতা: ইউরোপ প্রাচীনকাল থেকেই সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। ইউরোপের ভিন্ন ধর্ম, শিক্ষা, ও শিল্প ইত্যাদি এই অঞ্চলকে আদৌ অবিস্মরণীয় করেছে।
প্রযুক্তি ও উন্নতি: ইউরোপ মহাদেশ প্রযুক্তিতে অগ্রগতিপ্রাপ্ত একটি অঞ্চল। বিশেষত প্রযুক্তি, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কারে এই অঞ্চলের অবদান অপরিসীম।
সামরিক ও রাজনৈতিক অবস্থা: ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাস এই অঞ্চলের সংঘাত ও সংস্কৃতির চরম স্থিতিতে অসম্মানতা প্রদর্শন করে।
ইউরোপ মহাদেশর ইতিহাস ও সংস্কৃতি।
- প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সভ্যতার জন্মস্থান
- পশ্চিমা সংস্কৃতি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
- মধ্যযুগীয় সম্রাজ্য, ধর্মযুদ্ধ, নবজাগরণ, শিল্প বিপ্লব
- বিখ্যাত স্থাপত্য, শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত
- বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়
ইউরোপ মহাদেশর অর্থনীতি।
- বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি
- উন্নত জীবনযাত্রার মান
- শিল্প ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি
- বৈশ্বিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
ইউরোপ মহাদেশর ভৌগোলিক বৈচিত্র্য।
- আল্পস পর্বতমালা, ভূমধ্যসাগর, নর্ডিক দেশগুলির সুন্দর প্রকৃতি
- বিভিন্ন ধরণের জলবায়ু
- বৈচিত্র্যময় ও প্রাণী
ইউরোপ মহাদেশর পর্যটন।
- ঐতিহাসিক স্থান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিনোদন পার্ক
- বিখ্যাত খাবার ও পানীয়
- বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ
ইউরোপ মহাদেশর কিছু বিখ্যাত স্থান।
- আইফেল টাওয়ার (ফ্রান্স)
- কোলোসিয়াম (ইতালি)
- বিগ বেন (যুক্তরাজ্য)
- অ্যাক্রোপলিস (গ্রীস)
- সাগরাদা ফ্যামিলিয়া (স্পেন)
ইউরোপ মহাদেশ মানুষের জীবন মান কেমন?
ইউরোপ মহাদেশে মানুষের জীবন মান বিশাল ও বৃহত্তর। এখানে অনেক দেশে একে অপরের থেকে বেশি উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ ও সুবিধা পাওয়া যায়। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে মানুষের আয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বেসরকারি সুযোগ, সুরক্ষা ও সুরক্ষার সুযোগ, পরিবেশের সুরক্ষা, নাগরিকত্বের সুবিধা ইত্যাদি দিক গুলোতে অত্যন্ত উন্নতি দেখা যায়।
এছাড়াও, ইউরোপের অনেক দেশে মানুষের জনসংখ্যা প্রতি বর্বরতার মাত্রার মধ্যে অনেক কম। সেই সাথে বেশিরভাগ দেশে মানুষের অনেক পরিচিত সুবিধা পাওয়া যায় যা জীবনযাপনের মান বাড়ায়।
এইভাবে ইউরোপে মানুষের জীবন মান প্রায়ই অত্যন্ত উন্নত ও সুখবর। একেবারে বিশেষত উন্নত সাধারণ সেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুযোগ, শিক্ষার সুবিধা, এবং পরিবেশের সুরক্ষা এই সব এলাকাতে বিশেষভাবে প্রধান। এছাড়াও, এই অঞ্চলে নাগরিকত্বের সুযোগ ও সুরক্ষাও অত্যন্ত উন্নত।
সামগ্রিকভাবে
বলতে গেলে, ইউরোপের জীবনযাত্রার মান উচ্চ। জাতিসংঘের
মানব উন্নয়ন সূচক (Human Development
Index) অনুসারে, বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশের মধ্যে
২৩টিই ইউরোপীয়।
ইউরোপের উচ্চ জীবনযাপনের কিছু কারণ?
- উচ্চ আয়: ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের মাথাপিছু আয় বিশ্বের গড়ের চেয়ে বেশি।
- শক্তিশালী অর্থনীতি: ইউরোপের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী।
- ভালো স্বাস্থ্যসেবা: ইউরোপের দেশগুলিতে উচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রয়েছে।
- উচ্চ শিক্ষার হার: ইউরোপের দেশগুলিতে শিক্ষার হার অনেক বেশি।
- সামাজিক নিরাপত্তা: ইউরোপের দেশগুলিতে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
- নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ: ইউরোপের দেশগুলি সাধারণত নিরাপদ ও স্থিতিশীল।
তবে, ইউরোপের উচ্চ জীবন মানের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
- অসমতা: ইউরোপের কিছু দেশে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য অনেক বেশি।
- বেকারত্ব: ইউরোপের কিছু দেশে বেকারত্বের হার অনেক বেশি।
- অভিবাসন: ইউরোপের কিছু দেশে অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে।
- জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তন ইউরোপের জন্য একটি বড় হুমকি।
ইউরোপের কিছু কিছু দেশর জীবনযাত্রার মান সবচেয়ে ভালো।
- নরওয়ে
- সুইজারল্যান্ড
- ডেনমার্ক
- আইসল্যান্ড
- ফিনল্যান্ড
ইউরোপের কিছু কিছু দেশর জীবনযাত্রার মান তুলনামূলকভাবে খারাপ।
- বুলগেরিয়া
- রোমানিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- কমালদোভা
- ইউক্রেন
ইউরোপ মহাদেশে মানুষের জীবন মান বিশাল ও বৃহত্তর। এখানে অনেক দেশে একে অপরের থেকে বেশি উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ ও সুবিধা পাওয়া যায়। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে মানুষের আয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বেসরকারি সুযোগ, সুরক্ষা ও সুরক্ষার সুযোগ, পরিবেশের সুরক্ষা, নাগরিকত্বের সুবিধা ইত্যাদি দিক গুলোতে অত্যন্ত উন্নতি দেখা যায়।
ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url