মধ্য প্রাচ্যর দেশ কোন কোন দেশ কে বলা হয়?
মধ্য প্রাচ্যর দেশ কোন কোন দেশ কে বলা হয়?
উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা দেশসমহ।
- মিশর
- সুদান
- লিবিয়া
আরব উপদ্বীপয় দেশসমহ।
- সৌদি আরব
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- কুয়েত
- ওমান
- বাহরাইন
- কাতার
- ইয়েমেন
লেভান্ট অঞ্চলের দেশসমহ।
- লেবানন
- সিরিয়া
- জর্ডান
- ফিলিস্তিন
- ইসরায়েল
মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের দেশসমহ।
- ইরাক
- ইরান
- তুরস্ক (এশীয় অংশ)
অন্যান্য দেশ সমহ।
- সাইপ্রাস
মধ্য প্রাচ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও তাদের বৈশিষ্ট্য সমহ নিম্নে আলচনা করা হল।
- সৌদি আরবঃ বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ। ইসলামের দুটি পবিত্রতম স্থান মক্কা ও মদিনা এই দেশে অবস্থিত।
- ইরানঃ মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল সম্পদ রয়েছে।
- মিশরঃ আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার জন্য বিখ্যাত।
- তুরস্কঃ মধ্য প্রাচ্য ও ইউরোপের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ঐতিহাসিকভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।
- ইসরায়েলঃ ইহুদিদের নিজস্ব রাষ্ট্র। মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম উন্নত দেশ।
মধ্য
প্রাচ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতি।
মধ্য প্রাচ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতা, বিভিন্ন ধর্ম ও সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের ইতিহাস রয়েছে। মধ্য প্রাচ্য ইসলাম ধর্মের জন্মস্থান বলা হয়ে থাকে।মধ্য প্রাচ্য বর্তমানে অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, ইয়েমেনের সংকট, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ইত্যাদি এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।মধ্য প্রাচ্যের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সমাধান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক সংস্কারের প্রয়োজন।
মধ্য প্রাচ্যেরদেশ গুলি কিসেও জন্য বিখ্যাত?
প্রতিটি দেশ কোন না কোন জিনিসের জন্য বিখ্যাত মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিও এর বাইরে নয়।পৃথিবীতে যতগুলি দেশ আছে প্রতিটি দেশ এর বাইবে নয়।মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো বিভিন্ন জিনিসের জন্য বিখ্যাত তার মধ্যে রয়েছে উল্লেখ যগ্য কয়েকটি হল।
জীবাশ্ম জ্বালানীঃ মধ্য প্রাচ্য বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানীর বৃহত্তম রিজার্ভের আবাসস্থল। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির জন্য বিখ্যাত।
ইসলাম ধর্মঃ মধ্য প্রাচ্য ইসলাম ধর্মের জন্মস্থান। মক্কা ও মদিনা, ইসলামের দুটি পবিত্রতম স্থান, সৌদি আরবে অবস্থিত।
আরো পড়ূনঃএশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান?
প্রাচীন সভ্যতাঃ মধ্য প্রাচ্য প্রাচীন সভ্যতার জন্য বিখ্যাত, যেমন মিশরীয়, মেসোপটেমিয়ান এবং পারস্য সভ্যতা। এই সভ্যতাগুলি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প এবং স্থাপত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিঃ মধ্য প্রাচ্য বিভিন্ন সংস্কৃতির আবাসস্থল। আরব, পারস্য, তুর্কি, কুর্দি, ইহুদি এবং বারবারদের মতো বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বাস করে।
রাজনৈতিক অস্থিরতাঃ মধ্য প্রাচ্য দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য পরিচিত। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং ইয়েমেনের সংকট এই অঞ্চলের কিছু উল্লেখযোগ্য সমস্যা।
অর্থনৈতিক উন্নয়নঃ মধ্য প্রাচ্যের অনেক দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করছে। দুবাই, কাতার এবং আবু ধাবির মতো শহরগুলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
মধ্য প্রাচ্য একটি জটিল ও বৈচিত্র্যময় অঞ্চল যা বিভিন্ন জিনিসের জন্য বিখ্যাত। জীবাশ্ম জ্বালানী, ইসলাম ধর্ম, প্রাচীন সভ্যতা, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এই অঞ্চলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎসগুলি হল।
জীবাশ্ম জ্বালানী রপ্তানিঃ মধ্য প্রাচ্য বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানীর বৃহত্তম রিজার্ভের আবাসস্থল। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
বিনিয়োগঃ মধ্য প্রাচ্যের অনেক দেশ বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করে। দুবাই, আবু ধাবি এবং কাতার আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও অর্থের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
অন্যান্যঃ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যান্য উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে শিপিং, পরিবহন, কৃষি এবং উৎপাদন।
মধ্য প্রাচ্যের দেশভেদে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উৎসের বৈচিত্রিতা রয়েছে।
- তেল রপ্তানিকারী দেশঃসৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস হল তেল রপ্তানি।
- পর্যটন-নির্ভর দেশঃদুবাই, আবু ধাবি, কাতার, মিশর এবং জর্ডানের মতো দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস হল পর্যটন।
- বিনিয়োগ-নির্ভর দেশঃ দুবাই, আবু ধাবি এবং কাতারের মতো দেশগুলি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন কারণগুলি হল।
- তেলের দামঃ তেলের দাম বৃদ্ধি মধ্য প্রাচ্যের তেল রপ্তানিকারী দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থাঃ বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থার অবনতি মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
- রাজনৈতিক অস্থিরতাঃ রাজনৈতিক অস্থিরতা মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য কি?
- মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত।
- বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের ধর্মা অবলম্বী মানুষ।
- মধ্য প্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ।
- বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, তবে এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান ধর্মের উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু রয়েছে।
মধ্য প্রাচ্যের অর্থনীতির বাংলাদেশ অর্থনীতির মধ্যে পার্থক।
- মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরশীল।
- বাংলাদেশ একটি কৃষি-ভিত্তিক দেশ, তবে তৈরি পোশাক শিল্প অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
মধ্য প্রাচ্যের ও বাংলাদেশ মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক।
- জলবায়ু: মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে বেশিরভাগ শুষ্ক মরুভূমির জলবায়ু,
- মানুষের জীবনযাত্রা: মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে জীবনযাত্রার মান তুলনামূলকভাবে উচ্চ,
- শিক্ষা: মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে সাক্ষরতার হার তুলনামূলকভাবে উচ্চ,
- নারীর অধিকার: মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে নারীর অধিকার বাংলাদেশের তুলনায় কম,
- মানবাধিকার: মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে মানবাধিকার পরিস্থিতি বাংলাদেশের তুলনায় খারাপ।
ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url