রমজানে শসা খাওয়ার উপকার ।

শসা ফল না সবজি?


শসা ফল না সবজি? এ কথাটি প্রায় আমাদের মনে জাগে।শসা ফল নয় বরং এটি একটি সবজি বলা যায়। শসা সাধারণভাবে সবজি হিসেবে ব্যবহারিত হয়ে থাকে, শসা সবজিতে পানির ভাপ বেশি থাকে। শসা একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর সবজি খাবার যা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়।যেমন স্টিম, ফ্রাই, বয়েড, বেক্ড, বা গ্রেভি ইত্যাদি।

শসাতে কি কি উপাদান রয়েছে? 

শসা প্রধানত সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।শসা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর একটি খাবার।শসার চাহিদা সারা বছর থাকে। তবে বিশেষ করে রমজান মাসে বেশি। রমজান মাসে শসার দাম ও আকাশ ছুয়া থাকে।রমজান মাসে প্রতিটি পরিবারে শসার চাহিদা থাকেই।শশার বৈজ্ঞানিক নাম (Cucumis sativus)।শসা বিশেষ করে সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়, তবে এটি কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেও খাওয়া যায়

শসাতে যে সব উপাদানয়েছে তা হল এবং কত টুকু রয়েছে।

  • শক্তি (Energy): ১৭ ক্যালরি ।
  • পানি (Water): ৯৫.১ গ্রাম।
  • শর্করা (Carbohydrate): ২.৯ গ্রাম ।
  • আমিষ (Protein): ০.৮ গ্রাম ।
  • চর্বি (Fat): ০.১ গ্রাম ।
  • নায়াসিন: ০.৩ মিলিগ্রাম ।
  • ভিটামিন বি৬: ০.০৫১ মিলিগ্রাম ।
  • ফোলেট: ১৪ মাইক্রোগ্রাম ।
  • ভিটামিন সি: ৭.২ মিলিগ্রাম ।
  • সোডিয়াম: ২ মিলিগ্রাম ।
  • ক্যালসিয়াম: ১৩ মিলিগ্রাম ।
  • আয়রন: ০.৬ মিলিগ্রাম ।
  • ম্যাগনেশিয়াম: ১২ মিলিগ্রাম ।
  • ফসফরাস: ১৭ মিলিগ্রাম ।
  • পটাশিয়াম: ১০৫ মিলিগ্রাম ।
  • আঁশ (ফাইবার): ০.৭ গ্রাম ।
  • ভিটামিন-এ: ৪ মাইক্রোগ্রাম ।
  • বিটা ক্যারোটিন: ৪৪ মাইক্রোগ্রাম ।
  • থায়ামিন: ০.১৬ মিলিগ্রাম ।
  • রিবোফ্লাবিন।

    একজন মানুষের প্রতিদিন কতটুকু শসা খাওয়া উচিত?

    শসা একটি স্বাস্থ্যকর সবজি যা প্রতিদিন একজন স্বাস্থ সচেতন মানুষের খাওয়া উচিত। বিশেষ করে শসা আপনার শরীরের পানির চাহিদা পূরন করবে এবং শশা আপনার পুষ্টি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় উপাদান পূরণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি মাঝারি আকারের শশা স্বাস্থের উপকারি হতে পারে। শসা আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যোগ করতে পারেন। যাতে আপনি আপনার প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারেন।

রোজার দিনে শসা কতটুকু উপকারি?


শসা
 একটি স্বাস্থ্যকর সবজি যা আমাদের সকলের জানা বিশেষ করে রমজান মাসে শসা আমাদের শরীরের পানির চাহিদা অনেক টা পূরন করে থাকে। তাই আমাদের প্রতিদিন শশা খাওয়া উচিত।শসা আপনার পুষ্টি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় উপাদান পূরণ করতে সাহায্য করে।রমজান মাসে প্রতিদিন আমাদের একটি মাঝারি আকারের শসা খাওয়া স্বাস্থের জন্য উপকারি হতে পারে।পূর রমজান মাস আপনার খাবারে তালিকায় শসা যোগ করতে পারেন?

শসা কি ফ্রিজে সংরক্ষন করা যাবে?

খাবার ফ্রিজে সংরক্ষন করা নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক ভুল ধারনা রয়েছে। খাবার ফ্রিজে সংরক্ষন করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন জানা দরকার। রমজান মাসে শশা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাওয়া যেত পারে। রমজান মাসে শশা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন আপনি?

  • শসার প্যাকেট করুনঃ শশা আলাদা প্যাকেট করে ফ্রিজে রাখুন। এটি শসার পরিবেশ সংরক্ষণ করবে এবং অস্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করতে নিশ্চিত করবে।
  • শসা প্যাকেটের আগে পরিষ্কারঃ শসা ধুয়ে নিন এবং প্রয়জন মত প্যাক করুন।
  • শুকানো নিনঃ শসা প্যাকেট করার আগে একটু শুকিয়ে নিন। যাতে এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করার সময় বেশি সময় সংরক্ষণ করতে পারে।
  • প্যাকেট সংক্ষেপ করুনঃ শসা প্যাকেট করার আগে ব্যবহৃত প্যাকেজ সংক্ষেপ করুন এবং প্যাকেজে প্যাক করুন।

এই সব পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার ফ্রিজে শসা সংরক্ষণ করতে পারেন।

 শসা উৎপাদন বাংলাদেশের অবস্থান কত?

শসা একটি প্রধান জনপ্রিয় সবজি বাংলাদেশে।শসা প্রধানত সালাত সবজি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। শসা মানুষের শরীরে রক্তের শর্করা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিয়ন্ত্রণে রেখে, রক্তের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।শসা মানব দেহের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করে থাকে। শসা খেলে তাই বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ হয়।

শসা খাওয়ার কোন নিয়ম আছে কি?



  • শসা খাওয়া প্রতিটি মানুষের জন্য উপকারি।শসা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আপনার পুষ্টি পূর্ণতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। শসা খাওয়ার কিছু নিয়ম নিম্নলিখিত রয়েছে।

  • পরিমাণ মতঃ শসা খাওয়ার সময় পরিমাণ মত খাবেন। শসা আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
  • পরিষ্কার পরিছন্নঃ শসা খাওয়ার আগে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পরিষ্কার শসা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
  • সময় নির্বাচন করাঃ শসা খাওয়ার সময় নির্বাচন করে শসা খান। শসার পুষ্টি উপাদান সঠিকভাবে শরীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।

 বাংলাদেশে কোন জাতের শসা বেশি পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে শসা চাষের জন্য অনেকগুলি জাতের শসা পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক জাতের হাইব্রিড শসা ও পাওয়া। নিম্নে কিছু জনপ্রিয় জাতের শসা নাম দেওয়া হলঃ

  • ডেডি ২২৩১ এফ-১
  • বারমাসী
  • ডেসটিনি
  • তিতুমীর এফ-১
  • শীলা
  • বুলবুল এফ-১
  • গ্রীন কিং

তাই আমরা বলতে পারি শসা মানব দেহের পানি স্বল্পতা পূরণে ব্যপক ভূমিকা রাখে।তাই উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি শসা খাওয়া।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪