রমজানে খেজুর খাওয়ার উপকার।
খেজুর খাবার হিসাবে কেমন?
খেজুর আমাদের সমাজে অত্যন্ত পরিচিত ও সুস্বাদু ফল যা সবার জানা। খেজুর ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ একটি ফল, এবং খেজুর মানুষের শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। খেজুর অনেক মিষ্টি একটি ফল আবার অনেক সময় খেজুর চিনির একটি বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার হয়।
খেজুর
অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার।খেজুরে
যে সব উপাদান রয়েছে।
- ক্যালোরি।
- প্রোটিন ।
- ক্যালসিয়াম ।
- ফাইবার ।
- নানা ভিটামিন (আঁশ, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে) ইত্যাদি।
·
ক্যারোটিন
(যা চোখের জন্য অনেক উপকারী)।
খেজুর প্রকারে ভেদ?
আকার আকৃতি সাইজ ভাদে খেজুর বিভিন্ন প্রকার পাওয়া যায় বাজারে।কয়েক টি জনপ্রিয় ও প্রচালিত খেজুর হল।
- আজুয়া।
- আনবারা।
- সাগি।
- সাফাওয়ি।
- মুসকানি।
- খালাস।
- ওয়াসালি।
- বেরহি।
- শালাবি।
- ডেইরি।
- মাবরুম।
- ওয়ান্নাহ।
- সেফরি।
- সুক্কারি।
- খুদির ।
সবচেয়ে ভাল কোন খেজুর?
খেজুরের
স্বাদ মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে,কে কোন ধারনের
খেজুর খাবে নিচে
কিছু জনপ্রিয় খেজুরের ধরণের উল্লেখ করা হল।
- মেদজুলঃ এটি মধুর মতো মিষ্টি স্বাদের খেজুর। এটি সাধারণভাবে সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়।
- খাজুর বারিঃ এটি সুস্বাদু এবং মধুর স্বাদের খেজুর। এটি সাধারণভাবে বাজারে পাওয়া যায় এবং স্বাদের জন্য প্রিয়।
- খাজুর খোসাঃ এটি মধুর স্বাদের খেজুর খোসা। এটি সাধারণভাবে মিষ্টি বাজারে পাওয়া যায়।
আপনার কোন খেজুর
পছন্দ তা নির্ভর করবে আপনার স্বাদ ও চাহিদার উপর গুরুত্ব দিয়ে।
কোন খেজুরের
দাম কেমন ২০২৪? বিশ্ব বাজারে?
২০২৪ সালে খেজুরের চাহিদার উপর নির্ভর করে খেজুরের দাম বিশ্ব বাজারে প্রায় ৮০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।এই দাম খেজুরের মানভেদে পরিবর্তিত হয়েছে, আবার বিভিন্ন ধরণের খেজুরের দামে উল্টো পরিবর্তন ঘটতে পারে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী খেজুর নির্বাচন করতে পারেন এবং স্বাদ উপভোগ করতে পারেন।
একজন মানুষ প্রতিদিন কতটুকু খেজুর খেতে পারবে?
খেজুরে মধ্যে কি কি উপাদান আছে?
খেজুর অনেক পুষ্টিকর ফল যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হিসাবে কাজ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে যা আছে তা হল।
- ২২৭ কিলোক্যালোরি এনার্জি।
- ৭৫ গ্রাম শর্করা।
- ১.৮১ গ্রাম প্রোটিন ।
- ০.১৫ গ্রাম ফ্যাট।
- ০.০০ গ্রাম কলেস্টরল ।
- ৬.৭০ গ্রাম ফাইবার ।
খেজুর
মানুষের শরীরে ভাল একটি শক্তির
উৎস এবং প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,
ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি
উপাদানের সমৃদ্ধ খেজুর। তাই খেজুর খাওয়ার
সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যায়।
কোন দেশের খেজুর
সবচেয়ে ভাল?
খেজুরের
স্বাদ সব সময় নিজের
ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে,
কিন্তু কিছু দেশের খেজুর
বিশেষভাবে সকল দেশে অনেক
বেশি জনপ্রিয়।তার মধ্যে নিম্ন লিখিত দেশ বেশি
জনপ্রিয়।
- মিশরঃ মিশর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খেজুর উৎপাদন কারি দেশ। প্রতি বছর মিশরে প্রায় ১,০৮৪,৫২৯ মেট্রিক টন খেজুর উৎপন্ন হয়ে থাকে।এখানে মরক্কো (৫৩%), ইন্দোনেশিয়া (২৪%) এবং মালয়েশিয়া (১৫%) মিশর থেকে খেজুর আমদানি করে থাকে।
- ইরানঃ ইরান প্রতি বছর প্রায় ৯৪৭,৮০৯ মেট্রিক টন খেজুর উৎপাদন করে থাকে। এটি পৃথিবীর মোট খেজুর উৎপাদনের প্রায় ৭.৭%।
রমজান মাসে
খেজুর খাওয়ার উপকার কি?
রমজান মাসে
খেজুর
খাওয়া একজন রোজাদারের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।খেজুররে
প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে নিম্নলিখিত
উপাদান গুলি।
- শর্করাঃ খেজুরে শর্করা অধিক পরিমাণে থাকে যা রোজাদারের শরীরের শক্তি সরবরাহ করে।
- ফাইবারঃ খেজুর প্রচুর ফাইবা রয়েছে, যা মানুষের পাচন সিস্টেমকে বৃদ্ধী করতে সহায়্তা করে।
- মিনারেলঃ খেজুর পটাশিয়াম, কপার এবং ম্যাংগানিজ সহ অন্যান্য মিনারেল সরবরাহ করে থাকে মানুষের শরিরে।
- ভিটামিন সিঃ তাজা খেজুরে ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহয়াতা করে।
- উচ্চ পুষ্টিঃ খেজুর সহজে হজম করা যায়, তাই এটি শীঘ্রই শরীরের শক্তি এবং পুষ্টি সরবরাহ করে।
রমজানে
খেজুর খাওয়ার কারণে শরীরের গ্লুকোজের স্তর দ্রুত স্বভাবিক
হয়, ইফতারের সময় আসা পর্যন্ত শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করে। অন্য সময়ও
খেজুর খাওয়ার ফলে পেটের হজম
শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।আবার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
থাকে।
ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url