কলার উপকারিতা/রমজান মাসে কলার উপকারিতা।

কলা কেমন ফল?


কলা একটি উৎকৃষ্ট  ফল বলা যেতে পারে।কলা সুস্বাদু,পুষ্টিকর, এবং সহজলভ্য একটি ফল যা আমাদের সকলের জানা। কলা অনেক পুষ্টি গুণাবলিতে ভরপুর।  

  • পুষ্টিকরঃ কলায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন এ বি সি, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফাইবার এবং অন্যান্য খাদ্যশক্তি উপাদান রয়েছে ।
  • স্বাস্থ্যকর খাবারঃ কলা অত্যন্ত সুষম ফল বলা যেতে পারে। সারা বছরই কলা পাওয়া যায়। কলা খেলে পেট ভরার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে দারুণ শক্তি সঞ্চার করে থাকে ।

তাই আমরা বলতে পারি ধনী গরিব নির্বিশেষে সব মানুষ সহজেই কলা কিনে খেতে পারে।স্বাদ, উৎপাদন, ও সুগন্ধের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় কলাকে ফলের রানীও বলা হয়ে থাকে।

পাকা কলা খাওয়ার উপকার কি?

পাকা কলা এটি অত্যন্ত উপকারী ফল।কলা সহজেই আমাদের নিকটবর্তি বাজারে পাওয়া যায় এ বং কলা সুস্বাদু, পুষ্টিকর, এবং স্বাস্থ্যকর। পাকা কলা খেলে একজন মানুষ নিম্নলিখিত উপকার গুলি পেতে পারেন?হৃদয়ন্ত্র ভালো রাখতেঃপাকা কলা মানুষের রক্তনালীতে থাকা ব্লক দূর করতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে।

  • কিডনি সুস্থ রাখেঃ পাকা কলা খেলে কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
  • শরীরে শক্তির যোগানঃ পাকা কলায় সোডিয়াম কম ও পটাশিয়ামের পরিমান বেশি থাকে, তাই নিয়মিত কলা খেলে শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে।

তাই আমাদের প্রতিদিন একটি পাকা কলা খেতে পারি।পাকা কলা খেলে শরীর সুস্থ রাখাতে কর্ম র্স্পহা যোগায় এবং ভালো ফল পাওয়া যায়। 

 বাজারে কয় ধারনের কলা পাওয়া যায়?

বাজারে কলা পাওয়া যায় অনেক ধরনের।বাজারে বিশেষ করে কলা পাওয়া যায় কাচা ও পাকা ।

পাকা কলাঃ

  • সাগর কলা
  • মানিক কলা
  • চিনি চাম্পা কলা
  • কাঠালি কলা

কাঁচা কলাঃ

  • কাঠালি কলা
  • বিচি কলা

 কলা কয় ভাবে খাওয়া যায়?


কলা খাওয়া স্বস্থের জন্য ভাল এবং স্বাস্থ্যকরও এবং কলা বাজারে সহজ লভ্য। কলা অনেক রকম ভাবে খাওয়া যেতে পারেঃ

  • পাকা কলাঃ কাঁচা কলা খেতে পারেন সকালে নাশতায় বা ব্যায়াম করার আগে বা পরে। এটি আপনার শরীরের শক্তি ফিরিয়ে আনতে অনেক সাহায্য করবে।
  • পাকা কলাঃ পাকা কলা খেলে দুর্বলতার ভাব কমে ও রক্তের চলাচল স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে। পাকা কলা পেটের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

কলা খেতে পারেন প্রতিদিন  এবং কলা মানুষের প্রতিদিনের প্রয়োজনিয় শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে।

 কলা চাষে পৃথীবিতে প্রথম কোন দেশ?

বলা যায় কলা এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল গুলির মধ্যে অন্যতম। প্রধানত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা ভাল জন্মায় থাকে। তবে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কলার জন্মস্থল হিসাবে পরিগণিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা প্রধান ফল হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের যেসব এলাকায় ব্যপক ভাবে কলা চাষ হয় নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, যশোর, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ইত্যাদি।

রমজান মাসে কলা খাওয়া কি উপকার?


কলা একটি অত্যন্ত উপকারী ফল হিসাবে ধরা হয়ে থাকে, আর রমজান মাসে কলার চাহিদা আরো বেড়ে যায়এর কারণ কলা সুস্বাদু, পুষ্টিকর, এবং স্বাস্থ্যকর। রমজান মাসে কলা খাওয়ার উপকারগুলি নিম্নলিখিতঃ


  • হার্টের জন্যঃ নিয়মিত কলা খাওয়া হার্টের জন্য ভাল। কলা পটাশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ার কারণে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ কলা সোডিয়াম মুক্ত তাই রক্তের সমস্যার জন্য কলা উপকার হিসাবে ধরা হয়।
  • বাচ্চা জন্য কলাঃশিশুর বেড়ে ওঠার জন্য কলা খুব উপকারী।কলায় মিনালের এবং ভিটামিন পাওয়া যায় যা বাচ্চাদের বিকাশ হয়।
  • ত্বকের জন্য উপকারিতাঃ কলা ত্বক ভাল রাখতে অনেক কাজ করে। ভিটামিন সি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে

তাই আমরা বলতে পারি রমজান মাসে কলা খেলে রমজানের রোজা রাখতে শক্তি সঞ্চার করতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন কলা খাওয়া উচিত।

প্রতিদিন একজন মানুষের কয়টি কলা খেতে পারবে?

প্রতিদিন একজন মানুষ একাধিক কলা খেতে পারে।কলা একটি উৎকৃষ্ট মানের ফল, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একজন মানুষ প্রতিদিন একটি কলা খেলে যে উপকারত গুলি পেতে পারে তা হল


  • পেট পরিষ্কারঃ কলা পেটের সমস্যাগুলো দূর করতে অনেক সময় সাহায্য করে।কলা মানুষের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • হার্টের জন্য উপকারিতাঃ নিয়মিত কলা খেলে হার্ট ভাল থাকে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রঃ কলায় কোন সোডিয়াম নাই তাই রক্তের সমস্যার জন্য কলা উপকারি।
  • ত্বকের জন্য উপকারিতাঃ কলা ত্বকের জন্য ভালো

 তাই প্রতিদিন একটি কলা খেতে পারেন যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে আসবে

বাচ্চাদের কয় মাস বয়স থেকে কলা খাওনা যেতে পারে?


শিশুর জন্য কলা খাওয়া ভাল এবং স্বাস্থ্যকর ও। কলায় অনেক উপকারিতা দিক রয়েছে।

  • কাঁচা কলাঃবাচ্চাকে কাঁচা কলা খেতে পারেন রান্না করে তবে ছয় মাস বয়সের পর । এটি আপনার বাচ্চার শরীরের শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করবে ।
  • পাকা কলাঃ পাকা কলা আপনার বাচ্চাকে ছয় মাস বয়সের পর থেকে খাওতে পারেন,তবে শিতের সময় নয়।এটি বাচ্চার পেটের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করবে।

তাই আপনার বাচ্চাকে ছ্য মাস বয়সের পর থাকে কলা যে ভাবে পারেন খাওতে পারেন ।

গর্ভবতী মায়ের  জন্য কলা কতটুকু উপকারি?

কলা অত্যন্ত উপকারী একটি ফল যা আমাদের সকলের জানা,কলা সহজেই পাওয়া যায়, সুস্বাদু, পুষ্টিকর, এবং স্বাস্থ্যকর ফল। গর্ভবতী মায়ের জন্য কলা খাওয়া অনেক উপকার নিম্ন কিছু উপকারিতা লিখা হল।

  • কোষ্ঠকাঠিন্যঃ কলা পেটের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে গর্ভবতী মায়ের। এটি হজমে সাহায্য তাই গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • হার্টের ভাল রাখেঃনিয়মিত কলা খেলে হার্টে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কলা সোডিয়াম নাই তাই রক্তের সমস্যার জন্য কলা অনেক উপকারী।
  • ত্বকের ভালঃ ত্বক ভাল রাখতে কলা অনেক উপকারি।

 তাই আমরা বলতে পারি কলা এমন একটি ফল যা সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।যা অন্য কোন ফল নাই ।

 

 

 

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪