গাইনী ডাক্তার কে? কেন দেখাব?
গাইনী ডাক্তার কে?
গাইনী ডাক্তাররা মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবা বা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য প্রদান করে
থাকেন। গাইনী ডাক্তাররা মেয়েদের সকল প্রকার স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করে থাকেন, মেয়েদের গর্ভবতী হওয়া, ঋতুস্রাব, নরমাল ডেলিভারি, সিজার, অপারেশন, সহ অন্যান্য স্ত্রীরোগের।গাইনী ডাক্তাররা হাসপাতাল, ক্লিনিক, এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের দেখেন এবং চিকিৎসা প্রদান করেন।
একজন গাইনী ডাক্তার কি চিকিৎসা দেন?
একজন গাইনী ডাক্তার মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবা সর্ম্পিত তথ্য প্রদান করেন এবং নিম্নলিখিত চিকিৎসা দেয়ে থাকেন।
গর্ভবতী মায়েদের কি কি সমস্যা হয়ঃ গাইনী ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চা প্রসাবের সময় সহায়ক হয়। গাইনী ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের প্রসাবের প্রক্রিয়া, প্রসব পর্যায়, প্রসব সময়ে সহায়ক হতে পারেন। সকল গর্ভবতী মায়ের জন্য কিছু সাধারণ সমস্যা থাকতে পারে।তা হলঃ-
- কোষ্ঠকাঠিন্যঃগর্ভবতী মায়ের কোমড়ে ব্যথা হতে পারে কোষ্ঠকাঠিনন্যের কারণে,যা অস্থির গন্থির শিথিলতার কারণে হতে পারে ।
- গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতাঃ অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা হতে ও পারে, রক্তশূন্যতার কারণে গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
- গর্ভবতী মায়েদের ক্লান্তিঃ গর্ভবতী মায়ের অনেক সময় ক্লান্তি ক্লান্তি অনুভাব হতে পারে।
- গলার স্বর বসে যাওয়াঃ গর্ভবতী মায়ের গলার স্বর বসে যেতে পারে এবং গর্ভবতী মায়েদের ক্যান্সারের ঝুঁকি ও বেশি থাকে।
- পি-ম্যাচুয়েড সন্তান জন্মঃ রক্তশূন্যতার কারণে অপরিপক্ক সন্তান জন্মের সম্ভাবনা থাকে অনেক সময়।গর্ভবতী মায়ের যত্নঃগর্ভবতী মায়ের ভাল ভাবে যত্ন নেওয়া উচিত।একজন ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধ সেবন করতে পারেন এবং প্রয়োজনিও খাবার পরিবর্তন করতে পারে।
মেয়েদের ঋতুস্রাব কি?
মেয়েদের ঋতুস্রাব একটি চিরচারিত নিয়ম। ঋতুস্রাব (ইংরেজি: Menstruation) হলো উচ্চতর প্রাইমেট বর্গের স্তন্যপায়ী স্তরী- একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এটি প্রজননের সঙ্গে সম্পর্কিত।মেয়েদের প্রতি মাসে এটি হয় বলে এটিকে বাংলায় মাসিক বলেও অভিহিত করা হয়। ঋতুস্রাবেরে সময় প্রজননের উদ্দেশ্যে নারীর ডিম্বাশয়ে ডিম্বস্ফোটন হয় এবং তা ফ্যালোপিয়ন টিউব দিয়ে জরায়ুতে চলে যায় এবং ৩-৪ দিন অবস্থান করে।
যে কয়দিন জরায়ুতে অবস্থান করে এ সময় যদি পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনে মিলিত হয় এবং মিলিত হওয়ার মাধ্যমে নারীর জরায়ুতে শুক্রনা-আসে আর এই কারণেই মায়েরা গর্ভবতী হয়।আর যদি এ সময় মিলিত না হয় তাহলে ডিম্ব নিষিক্ত না হয় তবে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং জরায়ুগাত্রের অভ্যন্তরতম সরস স্তর (এন্ডমেট্রিয়াম) ভেঙ্গে পড়ে।
- নরমাল ডেলিভারি জন্য একজন মায়ের করণিয়? গাইনী ডাক্তাররা মেয়েদের নরমাল ডেলিভারি জন্য বিভিন্ন সমযয়ে বিভিন্ন সাস্থ বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গাইনী ডাক্তাররা মেয়েদের সন্তান প্রসব প্রক্রিয়া, প্রসব পর্যায়, প্রসব সময়ে সহায়ক হতে পারেন। নরমাল ডেলিভারির জন্য একজন মা নিম্নলিখিত কাজগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
- ডায়েট কেনঃগর্ভবতী মা প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে ডায়েট মেনে চলা উচিত।নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার, টাটকা ফল, শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। প্রতি দিন আয়রন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাবার তালিকায় রাখা।নিয়মিত মাল্টিভিটামিন সমূদ্ধ খাবার খাওয়া।মায়ের শরীরের পেশি যত শিথিল থাকবে,এতে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়বে। ডায়েট মায়েকে নরমাল ডেলিভারিতে সস্তি দিবে ।
- গর্ভবতী মায়ের ঘুমঃ গর্ভবতী মায়ের ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন হতে পারে। রাতে তাড়া তাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন, এতে গর্ভে থাকা সন্তান বিশ্রাম পাবে এবং মা নিজেও বিশ্রাম নিতে পারবে।
- ভ্রমনে বারনঃ গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের ভ্রমণ পরিহার করা।এ অবস্থায় দূরে কোথাও যাতায়াতের জন্য মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানটির ঝুঁকিতে থাকতে পারে।
এই কাজগুলি মেনে চললে একজন মায়ের নরমাল
ডেলিভারির সম্ভাবনা থাকে।
কখন সিজার করব?
গর্ভবতী
মায়ের সিজার করার সাধারণত সময়
গর্ভাবস্থার ৩৯ তম সপ্তাহের পর
থেকে হয়ে থাকে। ৩৯ তম সপ্তাহের পরে সিজার বা অপারেশন করাকভ হয়ে থাকে। ৩৯ তম সপ্তাহের পরে
সিজার করার কিছু উপকারিতা রয়েছে
যেমন এই সময়ে
অপারেশনের ঝুঁকি কম থাকে।
কোন
ডাক্তার দিয়
কোন মা যদি
প্রথমবার গর্ভবতী হন, তবে আলট্রাসন
করানর সম্ভাব্য তারিখ
অনুযায়ী ৩৮ সপ্তাহের মধ্যেই
সিজার করেভ থাকেন, আর এই সিজার করেন কোন একজন গাইনী ডাক্তার।
একজন গাইনি
ডাক্তার এ সবের বাইরেও প্রাথমিক চিকিৎসা গুলি দিয়ে থাকেন।
ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url