বাচ্চারা কৃমি আক্রান্ত কি ভাবে বুঝব?
বাচ্চাদের কৃমি কি?
বাচ্চাদের অপুষ্টি?
অপুষ্টি হলো এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে বাচ্চাদের প্রয়োজন
মত পুষ্টি, খনিজ এবং ক্যালোরি গ্রহণ করে না যা বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য
পুষ্টিকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।একটি বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগতে পারে ভুল খাদ্যাভ্যাস ও
আর্থ-সামাজিক কারণে।বাচ্চাদের অপুষ্টির লক্ষণ হিসাবে
বহিঃপ্রকাশ হতে পারে ওজন কমা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, পেট ফাপা রক্তাল্পতা,এই
সমস্যা গুলি বাচ্চার মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
করে। বাচ্চাদের অপুষ্টির প্রাথমিক চিকিৎসা
হিসাবে হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
নিরিক্ষা করা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন
করা।বাচ্চাদের অপুষ্টি বাচানোর
জন্য কিছু সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে
উচিৎ।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিসের টাইপ ১ টাইপ ২ কি?
বাচ্চাদের রক্তশূন্যতা
বাচ্চাদের অরুচি
বাচ্চাদের
অরুচি বর্তমান সময়ে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে যা নিয়ে অনেক মা-বাবাকে চিন্তিত। বাচ্চাদের অরুচির কারণে যেসব সমস্যা হতে পারে অনিয়মিত
খাবারের সময়, অসুস্থতা, কৃমির
সংক্রমণ, পুষ্টির ঘাটতি কারণে বাচ্চার মানুষিক বিকাশ ঘাটতি হয়।বাচ্চাদের
অরুচি দূর করার জন্য
কিছু পদ্ধীতি হল।
- বাচ্চাদের কে নিয়মিত ও সাস্থকর খাবার দেওয়া। আর খাবারে বৈচিত্র্যতা রাখা।
- বাচ্চাকে পুষ্টির খাবারের সাথে খেলা রাখা।বাচ্চার খাবারের রঙ, আকৃতি, গন্ধ বা স্বাদ দিয়ে বাচ্চাকে আক্ররষিত করা।
- বাচ্চা্র পছন্দ মত খাবার নির্বাচন করতে সহায়তা করা।বাচ্চা যেমন খাবার পছন্দ করে সে খাবারের নির্বাচন করতে সহায়তা করা।
- বাচ্চাকে খাবার বা সাজাতে খাবার টেবিলে উৎসাহ প্রদান করা।বাচ্চাকে ফল ধোয়া, শাকসবজি কাটা, রুটি তৈরি করা ইত্যাদি কাজে উৎসাহ প্রদান করা।
- বাচ্চাকে খাবারের নির্বাচনে উৎসাহ করা। বাচ্চার মতামত বা অনুভূতিতে গুরুত্ব দেওয়া, বাচ্চার সাথে খাবারের সময় কথা বলা মনভাব প্রকাশ করার অধিকার দেওয়া।
- বাচ্চাকে নিয়মিত
প্রোবায়োটিক, জিংক, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন
ডি, ভিটামিন সি, লাইসিন অ্যামিনো
অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া উচিত।যেসব খাবার, দই, ঘোল, মাছ,
মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা,
বাদাম, রঙিন শাকসবজি, ফল
ইত্যাদি।
এসব খাবার দেওয়ার
পাশাপাশি বাচ্চাকে
নিয়মিত কৃমির ওষুধ দেওয়া। বাচ্চার
নখ কাটা, হাত ধোয়া, বিশুদ্ধ
পানি পান করা।
আরো পড়ুনঃ ডায়রিয়া কি?ডায়রিয়া কেন হয়?
সুস্থ বাচ্চা
চেনার উপায়?
- বাচ্চার গ্রথ মনিট্রিন সিষ্টেম ফল করা। বাচ্চার ওজন, উচ্চতা ইত্যাদি।
- নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা এবং পুষ্টিকর খাদ্যের বৈচিত্র্যময় ধরে রাখা।
- বাচ্চার ঘুমা নিয়মিত হবে।
- বাচ্চা নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করবে। বাচ্চার সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ দেখা যাবে।
- বাচ্চার সুস্থ্য ও সুখী মানে থাকবে এবং পরিবার ও বন্ধু এবং শিক্ষকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবে।
- নিয়মিত বাচ্চার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় টিকা ও ওষুধ গ্রহণ করা।
বাংলাদেশে কারা বাচ্চাদের অপুষ্টি নিয়ে কাজ করে?
বাংলাদেশে বাচ্চাদের অপুষ্টি নিয়ে অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান
কাজ করে।তাদের মধ্যে ইউনিসেফ ও এস এম
সি সরকারের সাথে সহযোগিতা করে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা, নবজাতক, ছোট শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে
পুষ্টির গুণগতমান এবং বিস্তার বাড়াতে কাজ করে
থাকে।
ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url