বাচ্চারা কৃমি আক্রান্ত কি ভাবে বুঝব?

 বাচ্চাদের কৃমি কি?

কৃমি হলো এক ধরনের অন্ত্রের পরজীবী জীব যা বাচ্চাদের অন্ত্রে বসবাস করে এবং বাচ্চাদের খাদ্য থেকেই পুষ্টি অর্জন করে কৃমি।বাচ্চাদের কৃমির সংক্রমিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।কৃমিতে সংক্রমিত হলে বাচ্চারা অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, মলদ্বারে চুলকানি, খাদ্যে অরুচি ও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারে।বাচ্চাদের কৃমি থাকে সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কিছু সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। যেমন, খাবার আগে ও পরে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নিরাপদ পানি পান করা, নখ বড় না রাখা, খালি পায়ে মাটিতে না হাঁটা ইত্যাদি।কৃমিতে সংক্রমিত হলে প্রয়োজনে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাদের অপুষ্টি?

অপুষ্টি হলো এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে বাচ্চাদের প্রয়োজন মত পুষ্টি, খনিজ এবং ক্যালোরি গ্রহণ করে না যা বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।একটি বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগতে পারে ভুল খাদ্যাভ্যাস ও আর্থ-সামাজিক কারণে।বাচ্চাদের অপুষ্টির লক্ষণ হিসাবে বহিঃপ্রকাশ হতে পারে ওজন কমা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, পেট ফাপা রক্তাল্পতা,এই সমস্যা গুলি বাচ্চার মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বাচ্চাদের অপুষ্টির প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরিক্ষা করা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করা।বাচ্চাদের অপুষ্টি বাচানোর জন্য কিছু সতর্কতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে উচিৎ।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিসের টাইপ ১ টাইপ ২ কি?  

বাচ্চাদের রক্তশূন্যতা


বাচ্চাদের শরিরীরে রক্তশূন্যতা হলো রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা।রক্তশূন্যতা যেসব কারণে হতে পারে যেমন রক্তপাত, রক্তকণিকার উৎপাদন হ্রাস, রক্তকণিকার ভাঙ্গন বৃদ্ধি, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি 12 ইত্যাদি।রক্তশূন্যতা হলে একটি বাচ্চার লক্ষণ হিসাবে বহিঃপ্রকাশ পাই ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, ফ্যাকাশে ত্বক, মাথা ঘোরা ইত্যাদি।রক্তশূন্যতার প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাদ্য, আয়রন ওষুধ, রক্ত সঞ্চালন ইত্যাদির।বাচ্চাদের রক্তশূন্যতা এড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

বাচ্চাদের অরুচি

বাচ্চাদের অরুচি বর্তমান সময়ে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে যা নিয়ে অনেক মা-বাবাকে চিন্তিত। বাচ্চাদের অরুচির কারণে যেসব সমস্যা হতে পারে অনিয়মিত খাবারের সময়, অসুস্থতা, কৃমির সংক্রমণ, পুষ্টির ঘাটতি কারণে বাচ্চার মানুষিক বিকাশ ঘাটতি হয়।বাচ্চাদের অরুচি দূর করার জন্য কিছু পদ্ধীতি হল।

  • বাচ্চাদের কে নিয়মিত সাস্থকর খাবার দেওয়া। আর খাবারে বৈচিত্র্যতা রাখা।
  • বাচ্চাকে পুষ্টির খাবারের সাথে খেলা রাখা।বাচ্চার খাবারের রঙ, আকৃতি, গন্ধ বা স্বাদ দিয়ে বাচ্চাকে আক্ররষিত করা।
  • বাচ্চা্র পছন্দ মত খাবার নির্বাচন করতে সহায়তা করা।বাচ্চা যেমন খাবার পছন্দ করে সে খাবারের নির্বাচন করতে সহায়তা করা।
  • বাচ্চাকে খাবার বা সাজাতে খাবার টেবিলে উৎসাহ প্রদান করা।বাচ্চাকে ফল ধোয়া, শাকসবজি কাটা, রুটি তৈরি করা ইত্যাদি কাজে উৎসাহ প্রদান করা। 
  • বাচ্চাকে খাবারের নির্বাচনে উৎসাহ করা। বাচ্চার মতামত বা অনুভূতিতে গুরুত্ব দেওয়া, বাচ্চার সাথে খাবারের সময় কথা বলা মনভাব প্রকাশ করার অধিকার দেওয়া।
  • বাচ্চাকে নিয়মিত প্রোবায়োটিক, জিংক, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, লাইসিন অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া উচিত।যেসব খাবার, দই, ঘোল, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, বাদাম, রঙিন শাকসবজি, ফল ইত্যাদি।

এসব খাবার দেওয়ার পাশাপাশি বাচ্চাকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ দেওয়া। বাচ্চার নখ কাটা, হাত ধোয়া, বিশুদ্ধ পানি পান করা।

আরো পড়ুনঃ ডায়রিয়া কি?ডায়রিয়া কেন হয়? 

 সুস্থ বাচ্চা চেনার উপায়?


একটি সুস্থ বাচ্চা সব সময় প্রান চঞল থাকে,নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যাম ভাল থাকে।সুস্থ বাচ্চা চেনার উপায় হলো বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ নিয়মিত।কিছু প্রাথমিক লক্ষন হল।

  • বাচ্চার গ্রথ মনিট্রিন সিষ্টেম ফল করা। বাচ্চার ওজন, উচ্চতা ইত্যাদি।
  • নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা এবং পুষ্টিকর খাদ্যের বৈচিত্র্যময় ধরে রাখা।
  • বাচ্চার ঘুমা নিয়মিত হবে।
  • বাচ্চা নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করবে। বাচ্চার সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ দেখা যাবে।
  • বাচ্চার সুস্থ্য ও সুখী মানে থাকবে এবং পরিবার ও বন্ধু এবং শিক্ষকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবে।
  • নিয়মিত বাচ্চার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় টিকা ও ওষুধ গ্রহণ করা।

বাংলাদেশে কারা বাচ্চাদের অপুষ্টি নিয়ে কাজ করে?

বাংলাদেশে বাচ্চাদের অপুষ্টি নিয়ে অনেক সংস্থা প্রতিষ্ঠান কাজ করে।তাদের মধ্যে ইউনিসেফ ও এস এম সি সরকারের সাথে সহযোগিতা করে গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মা, নবজাতক, ছোট শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পুষ্টির গুণগতমান এবং বিস্তার বাড়াতে কাজ করে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪