ডায়াবেটিসের টাইপ ১ টাইপ ২ কি?
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস দুই প্রধান ধরণের হয়।
টাইপ ১ এবং টাইপ ২।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস
টাইপ ১ ডায়াবেটিসে
রোগির শরীরের প্যানক্রিয়াস ইনসুলিন তৈরি করতে পারে
না বা খুব কম
পরিমাণে তৈরি করতে পারে। এই
ধরণের ডায়াবেটিস সাধারণত শিশু ও যুবক
বয়সী বেশি রোগি হয়
এবং রোগীরা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন বা পাম্পের মাধ্যমে
ইনসুলিন গ্রহণ করে থাকে।ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করে।ডায়াবেটি রোগির শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এটি
বিভিন্ন জটিলতা ও সমস্যা সৃষ্টি
করে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস
হয়ার কারণ এখনো সম্পূর্ণরূপে বোঝা
যায়নি, তবে এটি বংশগত
বা পরিবেশগত কারণের সমন্বয়ে হতেও পারে। টাইপ
১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ হিসাবে যেগুলি রয়েছে ঘন ঘন প্রস্রাব,
বেশি বেশি তৃষ্ণার্ত হওয়া, ক্ষুধা বৃদ্ধি, ওজন কমে যাওয়া,
ক্লান্তি অনুভব করা ইত্যাদি। টাইপ
১ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা হলো নিয়মিত ইনসুলিন
গ্রহণ, রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ ও শরীরচর্চার অভ্যাস তৈরি করা।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
টাইপ
2 ডায়াবেটিস হলো একধরনের রোগ
যেখানে শরীর ইনসুলিন নামের
একটি হরমোন যতুটুক পরিমাণে
প্রয়োজন তৈরি করতে পারে না
বা তৈরি হওয়া ইনসুলিন
সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
ইনসুলিন ডায়াবেটি রোগির শরীরের রক্তের গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করে। ।ডায়াবেটি রোগির শরীরের রক্তে গ্লুকোজের
মাত্রা
অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ডায়াবেটি রোগির বিভিন্ন জটিলতা ও
সমস্যা সৃষ্টি হয়।টাইপ 2 ডায়াবেটিস সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক বা স্থুল মানুষের
মধ্যে বেশি দেখা দেয় এবং
ডায়াবেটিস রোগী নিয়ন্ত্রণে এবং শারীরিক ব্যায়ামের
মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। টাইপ
2 ডায়াবেটিসের কারণ হিসাবে যেগুল দেখা হয় তা হলো অতিস্থূলতা,কায়িক
পরিশ্রমের
অভাব, বংশানুক্রমিক রোগে বড় কারণ ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস হলে করণিয় কি?
ডায়াবেটিস হলে ডায়াবেটিস রোগির রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর জন্য আপনাকে কিছু করণীয় মেনে চলতে হবে তা হল ।
- নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে।ডাক্তার যে ওষুধ বা ইনসুলিন প্রেস্ক্রিপশন করেছেন তা মেনে চলা।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস তৈরি করা।শাকসবজি, ফলমূল, চর্বিহীন মাংস, ছোট মাছ, ওটস এবং খাবার তালিকায় রাখুন।
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন।প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় হাঁটুন।খেলাধুলা বা অন্যান্য সক্রিয়তা বাড়ানো।
- নিয়মিত
ডায়াবেটিস পরিক্ষা করুন।ডায়াবেটিস
হওয়ার পর রোগীকে এসব মেনে জীবন
যাপন করা।
- ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবারের সদস্যদের সমর্থন খুবই
জরুরি কারণ ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক সময় মানুষিক
চাপে পড়ে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সার্পট জরুরি।
নিয়ম মাফিক
জীবন যাপন করার পাশা পাশি স্বাস্থ্য ও
জীবনযাপনের মান উন্নত করতে
হবে।
আরো পড়ুনঃএ্যাজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহারের নিয়ম।
ডায়াবেটিস
রোগীর খাদ্য তালিকা কি?
- রক্তের শর্করা স্তর বাড়ায় এমন খাবার যেমন রিফাইন করা চিনি, মিষ্টি, মুড়ি, মায়দা, বিস্কুট, কেক, পেস্ট্রি, আইসক্রিম এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলতে হবে।
- যেসব খাবার নিয়মিত খেতা হবে শাকসবজি, ডাল, চাল, রুটি, পানি, দুধ, দই, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার।
- আবশ্যয় খাবারের সময় ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।খাবারে কম খেতে হবে।নিয়মিত খাবার খেতে হবে।
- সকালের নাশতা সময় মত খাওয়া উচিত। সকালের নাশতা ফল, দুধ, দই, ডিম, বাদাম, মুরি, চিরা, মুড়ি, পোহা, কোর্নফ্লেক্স, ওটস বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য রাখা উচিৎ ।
- সকল প্রকার ক্ষতিকর বদ অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে।এই সব অভ্যাস ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি বাড়ার কারণ পারে।
ডায়াবেটিস
চিকিৎসা হলো রক্তের শর্করা
বা গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার।ডায়াবেটিস চিকিৎসায় রোগীকে সঠিক ভাবে যেসব মেনে চলতে হবে তা হল ডায়েট,
ব্যায়াম, ওষুধ এবং ইনসুলিন
স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস
ইত্যাদি। ডায়াবেটিস
চিকিৎসার উদ্দেশ্য হলো রোগীর শরীরের
গ্লুকোজ স্তরকে স্বাভাবিক বা নিয়ন্তেনে রাখা, রোগের জটিলতা এবং ঝুঁকি কমানো
এবং রোগীর জীবনমান উন্নত করতে হবে।
ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url