এ্যাজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহারের নিয়ম।

ক্যাপসুলঃ ২৫০মিঃলি ।


ক্যাপসুলঃ ২৫০মিঃলি প্রতিটি ক্যাপসুল এ আছে এ্যাজিথ্রোমাইসিন ইউএসপি ২৫০ মিঃগ্রা।

ট্যাবলেটঃ ৫০০মিঃলি।


ট্যাবলেটঃ ৫০০মিঃলি প্রতিটি ফিল্ম কোর্টের ট্যাবলেটে আছে এ্যাজিথ্রোমাইসিন ইউএসপি ৫০০ মিলিগ্রাম।


১৫ মিঃলি সাসপেনশন তৈরির পাউডারঃসংমিশ্রনের পর প্রতি ৫ মিলি এ্যাজিথ্রোমাইসিন সাসপেন্স ইউএসবি ২০০মিঃলিঃ। 


৩০ মিঃলি সাসপেনশন তৈরির পাউডারঃসংমিশ্রনের পর প্রতি ৫ মিলি এ্যাজিথ্রোমাইসিন সাসপেন্স ইউএসবি ২০০মিঃলিঃ। 



৩০ মিঃলি সাসপেনশন তৈরির পাউডারঃসংমিশ্রনের পর প্রতি ৫ মিলি এ্যাজিথ্রোমাইসিন সাসপেন্স ইউএসবি ২০০মিঃলিঃ। 

ফার্মাকোলজি

এজিথ্রোমাইসিন একটি এ্যাজালাইট অ্যান্টিবায়োটিক যা ম্যাক্রোলাইট অ্যান্টিবায়োটিকের একটি উপশ্রেণী এবং গ্রাম -পজিটিভ গ্রাম -নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া সমূহের বিরুদ্ধে কার্যকরী। মুখে সেবনে ইহা দেহে দ্রুত শোষিত হয় এবং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এজিথ্রোমাইসিন সংবেদনশীল ব্যাকটেরিয়ার ৫০s রাইবোজোমাল সাবইউনিটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রোটিন সংশ্লেষণে বাধা দেয়। 


নির্দেশনা

এজিথ্রোমাইসিন ঊর্ধ্বস্বাসতন্ত্রের সংক্রমণসমূহ যেমন ফ্যারিনজাইটিস টনশিলাইটিস সাইনোটাইসিস মিডিয়া, নিম্নশ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ সমূহ যেমন ব্রংকাইটিক নিমোনিয়া চর্ম ও নরম কোষ কলা সংক্রমণ সমূহ এবং টাইফয়েড জ্বরে নির্দেশিত।

প্রয়োগের নিয়মাবলী

শিশু

6 মাস বা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য প্রতিদিন 10 মিঃলি প্রতি কেজি ওজন হিসেবে দিতে হবে পর পর ৩দিন বিকল্প মাত্রা হিসেবে প্রথম দিনে 10 মিলি প্রতি কেজি ওজন হিসাবে এবং পরবর্তী চার দিন ৫ মিঃলি প্রতি কেজি ওজন হিসাবে দেয়া যেতে পারে। ৬মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারে যথেষ্ট  পরিমাণ তথ্য পাওয়া যায় নি।

গর্ব অবস্থায় ও স্তন্যদান কালে এ্যাজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহার।


প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি বি গর্ভবতী মহিলাদের এজিথ্রোমাইসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই।এজিথ্রোমাইসিন এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েই কেবলমাত্র গর্ভকালীন সময়ে ব্যবহার করা উচিত। এজিথ্রোমাইসিন মাতৃ যুদ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা জানা যায়নি। যেহেতু অনেক ওষুধ মাতৃযুদ্ধে নিঃসৃত হয়,সে জন্য স্তন্যদানকারি মহিলাদের ক্ষেত্রে এ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।


শিশু ও কিশোরের ক্ষেত্রে ব্যবহার।

ছয় মাসের নিচে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার কোনো নিরাপত্তা বা কার্যকারিতা সঠিক নয়।

অন্যান্য ওষুধের সাথে ক্রিয়া

ওষুধের সাথে অ্যান্টাসিডের উপস্থিতিতেসিনের শোষণ ব্যাহত হয় বিধায় অ্যান্টাসিড গ্রহণের এক ঘণ্টা আগে অথবা দুই ঘন্টা পরে এজিথ্রোমাইটিং সেবন করা উচিত অন্যান্য খাবারের সাথে এজিথ্রোমাইসিন ক্যাপসুল ওরাল সাসপেনশন খাবারের সাথে অথবা খাবার ছাড়াও খাওয়া যায়

সাসপেনশন প্রস্তুত প্রণা। 

১৫ মিঃলি বোতল ঝাঁকি পাউডার আলগা করুন। এবার ৮ মিলির (সাথে দেওয়া পরিমাপক কাঁপে 4 মিঃলি দাগ পর্যন্ত ২ বার) ফুটানো ঠান্ডা পানি বোতলের ঢালুন। মেশানোর সুবিধার জন্য ৪ মিঃলি পানি যোগ করে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন ।এরপর আবার ৪মিঃলি পানি যোগ করুন এবং পাউডার সম্পূর্ণরূপে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ঝাঁকিয়ে নিয়ে।প্রস্তকৃত সাসপেনশন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে ৭ দিন এবং রেফ্রিজারেটরে রাখলে 14 দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে।

৩০মিঃলি বোতল ঝাঁকি পাউডার আলগা করুন। এবার ১৬ মিলির (সাথে দেওয়া পরিমাপক কাঁপে ৮ মিঃলি দাগ পর্যন্ত ৩ বার) ফুটানো ঠান্ডা পানি বোতলের ঢালুন। মেশানোর সুবিধার জন্য ৮মিঃলি পানি যোগ করে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন ।এরপর আবার ৮মিঃলি পানি যোগ করুন এবং পাউডার সম্পূর্ণরূপে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ঝাঁকিয়ে নিয়ে।প্রস্তকৃত সাসপেনশন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে ৭ দিন এবং রেফ্রিজারেটরে রাখলে 14 দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে।


৫০মিঃলি বোতল ঝাঁকি পাউডার আলগা করুন। এবার ৩০ মিলির (সাথে দেওয়া পরিমাপক কাঁপে ১০ মিলি দাগ পর্যন্ত ৩ বার) ফুটানো ঠান্ডা পানি বোতলের ঢালুন। মেশানোর সুবিধার জন্য ১০মিঃলি পানি যোগ করে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন ।এরপর আবার১০মিঃলি পানি যোগ করুন এবং পাউডার সম্পূর্ণরূপে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ঝাঁকিয়ে নিয়ে।প্রস্তকৃত সাসপেনশন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে ৭ দিন এবং রেফ্রিজারেটরে রাখলে 14 দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে।

প্রতিবার ঔষুধ খাওয়ার আগে বোতল ভাল করে ঝাকিয়ে নিন। 

সাসপেনশন গ্রহণ প্রক্রিয়া।

শিশুর ব্যবহায্য ডিসপেন্সারটি বোতলের মুখে থাকা অ্যাডাপ্টরের ছিদ্রের সাথে সংযুক্ত করুন।ডিসপেন্সারটি সংযুক্ত বোতলটি উল্টে পরিমাণ মতো সাসপেনশন টেনে নিন।মুখে ব্যবহার্য ডিসপেন্সারটি অগ্রভাগ শিশুর গালের এক পাশে রেখে প্লাজারের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে সাসপেনশন সেবন করান।ক্যাপ দিয়ে বোতলের মুখ বন্ধ রাখুন এবং প্রতিবার ব্যবহারের পর ডিসপেন্সারটি ধুয়ে রাখুন।

উপসংহারঃ সর্বোপরি বলতে পারি যে যে কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪