2024 সালের রমজান/ ইফতার ও সেহেরির সময়।

 2024 সালের রমজান। 

২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে (সম্ভব) ১১ মার্চ এবং শেষ হবে ১০ এপ্রিল।রমজান মাসে সকল মুসলিম ভাই-বোনদের রোজা রাখতে হবে এবং আল্লাহ-তালার নির্দেশানুসারে সকল ইবাদত বন্দেগি করতে হবে।২০২৪ রমজান মাসে রোজার সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো।

রমজান মাসের রহমতের ১০ দিন।


রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হল রহমতের ১০ দিন, যেখানে আল্লাহ-তায়ালা তাঁর ঈমান দার বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বণ্টন বিতরণ করে থাকেন। রমজানের প্রথম ১০ দিনে আমাদের করণীয় হলো আল্লাহ পাকের দয়া-মায়া রহমতের জন্য আল্লাহর কাছে র্পথনা করা।

রমজানের মাগফেরাতের ১০ দিন।



রমজান মাসের মাগফেরাতের ১০ দিন হল,রমজান মাসের মাঝের ১০ দিন। মাগফেরাতের ১০ দিন আল্লাহ তায়ালা তাঁর অনুগত বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন। মাগফেরাতের ১০ দিন আমাদের করণীয় হলো আল্লাহ পাকের ক্ষমা সংক্রন্ত নামগুলি বলে আল্লাহ-তালার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

রমজানের নাজাতের ১০ দিন।



রমজান মাসের শেষের ১০ দিন হল নাজাতের  ১০ দিন, যেখানে আল্লাহ-তায়ালা তাঁর ঈমান দার বান্দাদের প্রতি নাজাত দিয়ে থাকেন। রমজানের শেষের ১০ দিনে আমাদের করণীয় হলো আল্লাহ পাকের দয়া-মায়া নাজাতের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

সেহেরির দোয়া

সেহেরি খাওয়ার দোয়া হল, রমজানের রোজা রাখা ফরজ ।রমজান মাসে সেহেরি খাওয়ার সময় যে দোয়াটি পড়তে হয়।সেই দোয়াটি হলঃ

নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন্ শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস্ সামিউল আলিম।

অর্থ ঃহে আল্লাহআমি আগামীকাল পবিত্র মাহে রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম।অতএব তুমি আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী।

 ইফতারের দোয়া

ইফতারের দোয়া হল, রোজা রাখার পর ইফতার করার সময় পড়তে হয় ।এই দোয়াটি হলঃ

আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।

অর্থ ঃহে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।

ইফতারির দোয়ার পাশাপাশি আপনি আল্লাহর কাছ রহমত,ক্ষমা,নাজাত যেতে পারেন। ইফতারের সময় আল্লাহ তাআলা তার ঈমান্দার বান্দাদের দোয়া কবুল করে থাকেন।আল্লাহ-তালা আমাদের সবাইকে রহমত বরকত দান করুন।


 রমজানে কোন আমল গুলির ফজিলত বেশি।

রমজান মাসে আল্লাহ-তাআলা তাঁর বান্দার প্রতি অনেক  রহমত ও ফজিলত নাজিল করে থাকেন। এই মাসে যে কোনো আমলের পুণ্য বা ফজিলত অনেক গুনে বেড়ে যায়। তবে রমজান মাসের  কিছু বিশেষ ফজিলত রয়েছে। যেমন--- 

রমজানের রোজা রাখাঃ রমজানের রোজা রাখা হলো রমজান মাসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল।রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ-তালার আদেশ মেনে আল্লাহ-তালাকে রাজি খুসি করা। রোজা রাখার বদলতে আল্লাহ-তাআলা তার ঈমান্দার বান্দাকে গুনাহ মাফ করেন,এবং ঈমান্দার বান্দার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন।

তারাবীর নামাজ পড়াঃতারাবী নামাজ হলো রমজানের একটি ফজিলত পূর্ন এবাদত,তারাবির নামাজ ইশা নামাজের পর পড়তে হয়।রমজান মাসে তারাবী নামাজের গুরুত্ব অনেক।এমন আছে যে ব্যক্তি তারাবী নামাজ পড়ে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেন আল্লাহ-তালা। যে ব্যক্তিরা তারাবী নামাজে কোরআন খতমে অংশ নেয়, তার জন্য আল্লাহ তাআলা বিশেষ রহমত বরকত দান করে থাকেন।

কোরআন পড়াঃরমজান মাসে কোরআন তিলায়ত সবচাইচে ফজিলত পূর্ন ইবাদত, কোরআন হলো আল্লাহ-তালার বানি,কোরআন রমজানের মাসে নাজিল হয়েছে।আর এই কারণেই রমজান মাসে কোরআন পড়ার ফজিলত অনেক বেশি। প্রতিটি হরফের জন্য আল্লাহ-তালা একজন বান্দাকে অনেক বাশি নেকি দিয়ে থাকেন। 

আরো পড়ূনঃ২০২৪ সালের ইংরেজী দিন তারিখ।

 রমজানের তারাবির কি

তারাবির নামাজ হলো রমজান মাসের একটি রাত্রিকালীন সুন্নত নামাজ(এবাদত), যা রমজান মাসে এশার নামাজের পর আদায় করা হয়।তারাবির নামাজের রাকাতের সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, কিন্তু সাধারণত /২০ রাকাত পড়া হয়। তারাবির নামাজের মাধ্যমে কুরআন শরীফের তিলাওয়াত করা হয় এবং রমজানের খতম করা হয়। তারাবির নামাজ পড়ার ফজিলত ব্যপক, কারণ এটি নবী কারিম মুহাম্মাদ (সা.) এর সুন্নাহ।

তারাবির নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে,মহানবী (সা.)বলেছেনযে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের তারাবির নামাজ আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সকল গুনাহ আল্লাহ-তালা মাফ করে দিবেন।যে ব্যক্তি রমজান মাসের রাতে তারাবির নামাজ পড়ে এবং রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে,তার জন্য আল্লাহ তাআলা অনেক অনেক বেশি ফজিলত দান করেন।জান্নাতে এমন এই দরজা আছে যে দরজা দিয়ে শুধুমাত্র রোজাদারা প্রবেশ করবে।

 ফিতৎরা কি?

রমজান মাসের ফিতৎরা দেওয়া হয় রোজাদার মুসলিমদের পবিত্র করার জন্য। ফিতৎরা  রমজানের মাসের শেষে ঈদের আগে দরিদ্র অসহায় মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ফিতৎরা এক প্রকার সাদকা,যা রোজার সম্পূর্ণতা শুদ্ধতা নিশ্চিত করে। ফিতৎরা আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী প্রতি রোজাদারের উপর ফরয করা হয়েছে।

রমজান মাসে ফিতৎরা পরিমাণ প্রতি ব্যক্তি প্রায় . কেজি চাল বা গমের সমতুল্য অর্থ। ফিতৎরা ঈদের সালাতের আগে দিতে হবে,যেন দরিদ্র মানুষরা ও ঈদর আনন্দ  উপভোগ করতে পারে।ফিতৎরা রোজাদারের নিজের তার অধিনন্থ  সকল ব্যক্তির জন্য দিতে হয়।আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি অর্জন করা।

ঈদের নামজ কি?

ঈদের নামজ হলো মুসলিমদের জন্য  দুটি বড় উৎসব, ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহার ।ঈদের নামাজ সাধারণত ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়।ঈদের নামাজ দুই রাকাত। ঈদের নামাজের পর ইমাম দুটি খুতবা দেয়, যা শুনার জন্য সবাই বসে থাকে।ঈদের নামাজের ফজিলত হাদীসে বর্ণিত আছে।

 

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪