বিশ্ব ইজতেমা 2024

বিশ্ব ইজতেমার ঐতিহাসিক শুরু কখন?


বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের এক বার্ষিক ধর্মীয় জমায়েত।মুসলিম ভাইবোনেরা উপাসনা ও প্রার্থনা এক মিলন মেলা বিশ্ব ইজতেমা।

ইজতেমার প্রাথমিক বছরগুলো ?

প্রাথমিক বছর গুলোতে বিশ্ব ইজতেমা ছিল আকারে ছোট।বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশে শুরু কাকরাইল মসজিদ দিয়ে।এখন প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা বৃদ্ধি দিকে।বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয় কাকরাইল মসজিদের মধ্য দিয়ে।
  • ১৯৫৪ সালে প্রথম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
  • প্রথম দিকে কয়েকশো লোকের সমাগম হয়।
  • বিশ্ব ইজতেমা ধর্মীয় শিক্ষা ও আদান-প্রদানের জায়গা।

তাবলীগ জামাত এর ভূমিকা ?


তাবলীগ জামাত গুরুত্ব দেয় বিশ্ব ইজতেমা গঠনে। তাবলীগ জামাত ধর্ম প্রচারে নেতৃত্ব দেয়।

  • দীক্ষানির্ভর গঠন।
  • বিশ্বব্যাপী মুসলিম ঐক্যের প্রচার।
  • ইসলামের সদস্য সংখ্যা ও প্রভাব বাড়ানো।

ইজতেমার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?

বিশ্ব ইজতেমার মূল অভিপ্রায় হলো ধর্মীয় শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া।এখানে মানুষ একসঙ্গে মিলে ধর্মীয় জ্ঞান বিনিময় করে।এটি সমাজে সাম্য ও শান্তি বজায় রাখার এক বিশাল প্রয়াস। বিশ্ব ইজতেমার মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক মানুষ ইসলামের ঞ্জন অর্জন করার সুযগ পাই।

ধর্মীয় অনুশাসন প্রচার।


বিশ্ব ইজতেমার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় অনুশাসন গঠনে সহায়তা করে।বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ, কোরআনের তেলাওয়াত এবং ধার্মিক আলোচনা হয় নিয়মিত। বিশ্ব ইজতেমায় মানুষকে ধর্মীয় জ্ঞান ও ইসলামের পথে চলতে শেখায়।

সমাজে ইসলামি সংস্কৃতির ছড়িয়ে দেওয়া।

বিশ্ব ইজতেমা ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলমানরা বিশ্ব ইজতেমায় জড়ো হয়। তারা ইসলামের শান্তির বাণী ছড়িয়ে নিজ নিজ সমাজে ফিরে যায় আবার।

ইজতেমা আয়োজন ও পরিকল্পনা।

বিশ্ব ইজতেমা একটি আধ্যাত্মিক মহা সম্মেলন তাবলিক জামাতের জন্য। হাজার হাজার মুসলমান বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করে। বিশ্ব ইজতেমার সকল কিছু পরিকল্পনা ভিত্তিক বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়।

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান কোথায়?

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান হিসাবে টঙ্গির বিস্তৃর্ন মাঠে প্রস্তুতি নেয়া হয়। টঙ্গি ইজতেমা ময়দান বড় ভিড় সামাল দেয়।

  • আবাসিক সুবিধা: তাঁবু ও আশ্রয়স্থল ঠিক করা হয়।
  • খাবারের ব্যবস্থা: লাখো মানুষের জন্য খাবার তৈরি হয়।
  • নিরাপত্তা: পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত থাকেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা। 

দেশের প্রখ্যাত অলামায়ে দিন ও হাজারো আলেমের উস্তাদ এবং অনেক দেশ থেকে অতিথিরা বিশ্ব ইজতেমা ময়দান আসেন।



অতিথির ধরন                                        উদাহরণ                                            অনুষ্ঠানের ভূমিকা

জাতীয়                                                ধর্মীয় নেতারা                                        দু'আ এবং সম্মেলনে বয়ান

আন্তর্জাতিক                                       আলিম, বিশেষজ্ঞ                                 ইসলাম শিক্ষার ছড়াছড়ি


প্রতিবছর এই আয়োজনে নতুন পরিকল্পনা যোগ হয়।

ইজতেমায় বিশেষ ইসলামি আনুষ্ঠানিক।

বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম জগতের অন্যতম এক আধ্যাত্মিক মিলন মেলা বলা হয়। বিশ্ব ইজতেমা ইসলামি আয়োজনে আসেন অগণিত মানুষ। তারা নিজের ঈমান ও আমলের উন্নতি করতে একত্রিত হন এই বিশ্ব ইজতেমায়।

আকিদা ও আমলের শিক্ষা।

বিশ্ব ইজতেমায় আকিদা ও আমলের শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আলেমরা কুরআন ও হাদিসের বাণী শেয়ার করেন।সহজ ভাষায় দেন ধর্মীয় দিকনির্দেশনা।সবাই শিখে নেন একজন ঈমান্দার মুসলিমের জীবনযাত্রা এবং পরকালের মুক্তি ও জান্নাত লাভের উপায়।

ইজতেমায় জুম্মা নামাজ ও আলোচনা

জুম্মা হলো মুসলিমদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন বা সাপ্তাহের কেন্দ্রবিন্দু। ইজতেমায় জুম্মার দিনে বিশাল জামাতে সবাই মিলে জুম্মা নামাজ আদায় করেন। জুম্মা আলোচনায় নির্বাচিত হয় জীবন ও দাওয়াতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বিশ্ব ইজতেমার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব।

বিশ্ব ইজতেমা তাবলিগি জামাতের এক গণসমাবেশ যা প্রতি বছর বাংলাদেশের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হয়।এই সমাবেশ লাখো মুসলিমদের একত্রিত করে এবং বিশ্ব ইজতেমার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। নিম্নে বিশ্ব ইজতেমার কিছু প্রভাব তুলে ধরা হলো।

স্থানীয় ব্যবসা বৃদ্ধি।

বিশ্ব ইজতেমায় টঙ্গীর সকল এলাকার ব্যবসায় জোয়ার আসে। হাজারো দোকা্নের পসরা গড়ে উঠে টঙ্গীতে। টঙ্গীর স্থানীয় কারিগর, দোকানদার এবং হোটেল মালিকরা সহ দেশের অর্থনিতিতে ব্যপক ভূমিকা রাখে বিশ্ব ইজতেমা।

  • খাবারের স্টল।
  • থাকার জায়গা।
  • পরিবহন সেবা।

মুসলিম ঐক্য এবং জনসাধারণের জীবনে প্রভাব।

সারা বিশ্বের মুসলিম ঐক্য বৃদ্ধি পায় এই ইজতেমার মাধ্যমে।বিভিন্ন দেশের মানুষ কুরআন ও হাদিস শেখে বিশ্ব ইজতেমার মাধ্যমে।তারা সামাজিক উন্নতি এবংপরকালের মুক্তির পথ খুঁজে পায়।

  • ধর্মীয় শিক্ষা প্রসার হয়।
  • শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়ায়।
  • সামাজিক বন্ধন মজবুত হয়।

সময়ের সাথে ইজতেমার পরিবর্তন।

বিশ্ব ইজতেমা মুসলি্মের একটি আধ্যাত্মিক মিলনমেলা বিশ্ব ইজতেমায় সময়ের পরিক্রমায় অনেক পরিবর্তন দেখা গেছে। এই ধর্মীয় সমাবেশ টেকসই করতে নিত্যনৈতিক পরিবর্তন ও প্রযুক্তির সামঞ্জস্য ব্যবহার করে চলেছে।

প্রযুক্তির ব্যবহার ইজতেমায় ।

বিগত বছরগুলো্র মতই এবারও ইজতেমা প্রাঙ্গণে প্রযুক্তির ছোঁয়া লক্ষ করা গেছে ব্যাপক।সাউন্ড সিস্টেম, লাইভ স্ট্রিমিং এবং অনলাইনে ফতোয়া যে কোন প্রকার আইনি সহয়তার মত সেবা সংযুক্ত হয়েছে। অনলাইন নিবন্ধন এখন সহজ করে তোলে হাজার হাজার মুসল্লিদের যাত্রা প্রক্রিয়া। মোবাইল অ্যাপস ইভেন্টের তথ্য ও নির্দেশিকা প্রদান করে।

ইজতেমায় নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ কেমন?

বিশ্ব ইজতেমার প্রতি নতুন প্রজন্মের আকর্ষণ বাড়াতে ইজতেমা আয়োজকরা যোগ করেছেন নানা উদ্ভাবন। তরুণরা নেতৃত্ব নিচ্ছে এবং অনুষ্ঠানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করছে।

উপসংহার
বিশ্ব ইজতেমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আধ্যাত্মিক সখ্যতার প্রতিধ্বনি যেমন ম্লান হয়ে যায়।এই বিশ্ব সমাবেশ সত্যিই মানুষকে একত্রিত করার বিশ্বাসের শক্তির প্রতীক।যারা প্রশান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য আকাঙ্ক্ষা করে বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বের প্রতিটি কোণ থেকে বিশ্বাসীদের ইঙ্গিত করে।আশার আলোকবর্তিকা হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ব ইজতেমা। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪