জন্মনিয়ন্ত্রণ কোন পদ্ধতি সবচেয়ে নিরাপদ?
জন্মনিয়ন্ত্রণ কোন পদ্ধতি সবচেয়ে নিরাপদ?
জনসংখ্যার
এ দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরন করা হয়।পদ্ধতি গুলো হল মৌখিক
ঔষধ সেবন,প্যাচ,যোনি আংটি,এবং
ইনজেকশনসহ হরমোন ঘটিত গর্ভনিরোধক এর
মাধ্যমে।গ্রাম অঞ্চলে এখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
নিয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণা আছে।পেশাজীবীসহ
বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিরাপদ
পদ্ধতি অনুসরন করে থাকেন।এ পদ্ধতি শুধু
নারীদের ক্ষেত্রে নয় পুরুষদের ক্ষেত্রেও
রয়েছে।সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতী হলো পুরুষদের জন্য(ভেসেকটমি)আর নারীদের ক্ষেত্রে(টিউবেকটমি)।এপদ্ধতি তাদের ক্ষেত্রে যাদের
ভবিষ্যতে আর সন্তানের প্রয়োজন
নেই।
পিলের কিছু পার্শপতিঋকৃয়া ও আছে?
পিল গ্রহনের কারণ অনেকের উচ্চরক্তচাপ,তীব্র মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন, কোনো ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে,সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমতো পিল সেবন করতে হবে।
কর্মজীবী নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
পেশাজীবী বা কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চিন্তাভাবনা করে শুরুতেই পদক্ষেপ নিতে হবে।কারণ একটি সুস্থ সন্তান উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।
নববিবাহিত দের জন্য
কেউ নতুন বিয়ে করেছেন,এখনই সন্তান নিতে যাচ্ছেন না।অথবা বিয়ের কয়েক বছর পার হয়ে গেছে তবু আরও একটু দেরিতে বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন!হয়তো জীবনটা আরেকটু সাজিয়ে গুছিয়ে আরও কিছু সময় নিয়ে বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন।তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার উচিত।
জন্মনিয়ন্ত্রণ কি কি পদ্ধতি রয়েছে ?
দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
আই ইউ ডি বা ইমপ্ল্যান্ট সহ বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে নারীদের জন্য,যা একজন চিকিৎসক নারীর স্বাস্থ্য চেকআপ করে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ত্রন করে।
মুখে খাওয়ার পিল
স্বল্পমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে মুখে খাওয়ার পিল ।যাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার পিল স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে।
কনডম পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কনডম পদ্ধতি সবার কাছে খুব পরিচিত।কনডম পদ্ধতির মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণের সফলতার হার তুলনামূলক কম হলেও এটি জনপ্রিয়।বাংলাদেশের ১০০ দম্পতির মধ্যে কনডম ব্যবহারে জন্মনিয়ন্ত্রণে সফলতার হার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এরপরও কনডম জনপ্রিয় হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে।
সহজলভ্য
কনডম
খুব সহজে পাওয়া যায়।
তুলনামূলক সহজলভ্য।কনডম ব্যবহার করা বা ডিসপজেবল
সুবিধাজনক।এটি ব্যবহারে তেমন
কোনো জটিলতা নেই।সামান্য কিছু কৌশল শিখলেই
অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।
বেরিয়ার
পদ্ধতি
কনডম যৌনবাহিত
রোগ
সেক্সুয়ালি
ট্রান্সমিটিভ ডিজিজের সেক্সুয়ালি রোগ গুলির
মধ্যে পেলভিক ইনফ্লামাটরি অন্যতম। পুরুষ থেকে এ রোগ
নারী দেহে ছড়িয়।পুরুষ সঙ্গী
কনডম ব্যবহার করলে নারীরা সঙ্গী
রোগটি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
জরায়ু ক্যান্সারে
বাংলাদেশে জরায়ু ক্যান্সারে অনেক নারীর মৃত্যু হয়। আমাদের দেশে নারীদের জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্তের হার অনেক বেশি। পুরুষ সঙ্গী কনডমে অভ্যস্ত হলে এ ধরনের সংক্রমণ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল সাকসেস আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url