ডায়াবেটিস হলে করণিও কি ?

ডায়াবেটিস কি?

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্ররোগ হল এমন একটি রোগ যা শরীররে নিজ থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা তৈরি হওয়া ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহারিত হয় না।এর কারণে রক্তে শর্করার বা গ্লোকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে।ইনসুলিন মানুষের শরীরের কোষগুলি তে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করে।

 ডায়াবেটিস উপসর্গগুলো হলো

• ঘনঘন প্রস্রাব।
• অত্যধিক তৃষ্ণা /ক্ষুধা বোধ।
• ত্বক শুকনো লাগা।
• ওজন কমে যাওয়া।
• ক্লান্তি বা তন্দ্রা বোধ হওয়া।

ডায়াবেটিস রোগ কি ভাল হয় ?

ডায়াবেটিস রোগ পুরোপুরি বা সম্পূর্ণ নিরাময় যগ্য নয়। তবে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চললে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভাব।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার অনেক উপায় আছে,যেমন নিয়মিত ওষুধ গ্রহন,নিয়মিত ব্যায়ামসহ নানাভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যয় এমন খাদ্য রাখতে হবে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায়তা করে।নয়তো সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে যদি আপনি খাবার নিয়ন্ত্রণ না করেন।খাবার খতে হবে পরিমাণমতো।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে,এমন কিছু খাবার।

খেজুর খেজুর  মানুষের শরীরে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়।খেজুর  মিষ্টি স্বাদ যুক্ত হওয়ার কারণে অনেকেই ভেবে থাকেন,ডায়াবেটিক  রোগীদের খেজুর খাওয়া ঠিক নয়।খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

তিসিবীজ তিসি এক ধরনের বীজ।তিসিবীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার।ডায়াবেটিস  নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই তিসিবীজ খুবই কার্যকরী।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখতে পারেন?তিসিবীজ রক্তে চিনির মাত্রা কমায় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  

দুধ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর একটি উৎস ।দুধ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য  উপকারী খাবার। সকালের নাস্তায় ও রাতের খাবারে দুধ অথবা দুগ্ধজাত কোনো খাবার রাখতে পারেন।

তুলসী গাছকে বলা হয় ডায়াবেটিস রোগের ইনসুলিন।গবেষণায় দেখা গেছে,তুলসীপাতার রস  বিভিন্নভাবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।সকালে খালি পেটে তুলসীপাতার রস খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়।বিভিন্ন ভাবে তুলসীর রস খাওয়া যেতে পারেন।

ডায়াবেটিস কেন হয়?

ডায়াবেটিস হলে রাতে কী খাবেন? 

 উপ সংহারঃ ডায়াবেটিস একটি  বহুমূত্ররোগ যা ভাল হওয়ার নয়। তবে  নিয়ম তান্ত্রিক জীবন যাপন করলে ভাল থাকা যায় ।